কংগ্রেসে চার হাজার কোটি ডলারের খরচ পাস না-হলে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সহযোগিতা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পেন্টাগন।
পেন্টাগন মুখপাত্র জন কিরবি শুক্রবার (১৩ মে) বলেন, ‘১৯ মে-র পর আমরা সাহায্য পাঠানোর সক্ষমতা হারাব। এরপর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সাহায্য পাঠানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।’ খবর আরটি
তিনি আরও জানান, কিয়েভে ২০ মে-র আগপর্যন্ত হঠাৎ করে মার্কিন অস্ত্রের সরবরাহ বন্ধ হবে না। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ১০ কোটি ডলারের যে বাজেট ছিল, সেখান থেকেই ২০ মে পর্যন্ত ইউক্রেনে সাহায্য পাঠাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কিরবি এ-ও জানান, নতুন তহবিল পাস না হওয়ায় আসন্ন দিনগুলোতে সাহায্য পাঠানো বন্ধও থাকতে পারে।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে আইনসভায় ইউক্রেনকে ৩৯ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের তহবিলের ব্যাপারে সম্মতি এলেও সিনেটে বৃহস্পতিবার তা দ্রুততার সঙ্গে পাস করানো যায়নি।
কিরবি আরও বলেন, ‘আমরা দ্রুত ইউক্রেনীয়দের হাতে সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছি। প্রায় প্রতিদিনই নতুন জিনিসপত্র ইউক্রেনে পৌঁছাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, এই গতিটা যতদিন পারা যায় ধরে রাখতে।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এক হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চরম কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল দখলে নিয়েছিল রাশিয়, তা ধরে রাখতে পারেনি। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ জয়ের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ফিরেছে রুশ বাহিনী।
আর গেল এপ্রিলে নাটকীয়ভাবে উত্তর ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার করে পূর্ব ও দক্ষিণে মোতায়েন করেছে মস্কো। রাশিয়ার লক্ষ্য এখন লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চল পুরোপুরি দখলে নেওয়া।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েই এ যুদ্ধে জড়িয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা ইউক্রেনকে রক্ষায় বদ্ধপরিকর। যুদ্ধে রাশিয়া যদি পরাজিত হয়, তাহলে দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, হেরে গেলে রাশিয়াকে উত্তর কোরিয়ার মতো বিচ্ছিন্নতার দিকে নিয়ে যেতে পারেন পুতিন।