ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, সকাল ৬:২৬
বাংলা বাংলা English English

ইসরাইলকে ‘অজানা মূল্য’ পরিশোধ করতে হবে


ফিলিস্তিনিতে হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল তার সংগঠনের নেতাদের গুপ্তহত্যার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করলে তার জন্য অজানা মূল্য পরিশোধ করতে হবে।

আঞ্চলিক এবং বিশ্বনেতাদের কাছে লেখা এক চিঠিতে এই হুঁশিয়ারি দিলেন ইসমাইল হানিয়া।

চিঠিতে তিনি বলেছেন, হামাসের শীর্ষ নেতাদের আবারো হত্যা করার নীতি শুরু করতে যাচ্ছে ইসরাইল। তবে এর প্রতিক্রিয়া হবে তাদের ধারণার বাইরে। ইসমাইল হানিয়ার গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা তাহের আল-নুনু গতকাল (বুধবার) এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর পার্সটুডে’র।
ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাস শহরে অবস্থিত পবিত্র আল আকসা মসজিদে সম্প্রতি ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের দফায় দফায় হামলাকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনি জনগণ এবং ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ইসরাইলের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা হামাসের গাজা অঞ্চলের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার পরামর্শ দিয়েছেন।
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইসরাইল যদি তার সংগঠনের নেতাদেরকে গুপ্তহত্যার কর্মসূচি চালু করে তাহলে তেল আবিবের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের জনগণ এবং প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো পূর্ণমাত্রায় লড়াই শুরু করবে এবং তাতে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে অজানা মূল্য পরিশোধ করতে হবে।

এর আগে রোববার (১৫ মে) অধিকৃত পশ্চিম তীরে নাকবা দিবসে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফিলিস্তিনিদের ঢল নামে। ১৯৪৮ সালের ১৫ মে সাড়ে সাত লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে ইহুদিরা। প্রতিষ্ঠা করা হয় ইসরাইল। আর তখন থেকেই এটিকে নাকবা বা বিপর্যয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী দুই তৃতীয়াংশ ফিলিস্তিনির ওপর জাতিগত নিধন চালায়। ৭৪ তম নাকবা দিবসে নিজেদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান ফিলিস্তিনিরা।

এক ফিলিস্তিনি বলেন, নাকবা দিবস আমাদের দাদা, পিতা, পরিবার সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার বাবা ৮৬ বছর বয়সে মারা যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার আশা ছিল আমরা আমাদের মাতৃভূমিতে ফিরব।

নাকবা দিবস উপলক্ষে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। লন্ডনে ব্রিটিশ সম্প্রচার করপোরেশনের (বিবিসি) প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বিপুল মানুষ অংশ নেন। এর আগে তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনেও বিক্ষোভ করেন।

ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের ৭৮ শতাংশ ভূমিই দখল করে নিয়েছে ইসরাইল। ৫৩০টিরও বেশি গ্রাম ও শহর ধ্বংস করেছে ইসরাইলি বাহিনী। নিজ ভূমিতেই এখন শরণার্থী ফিলিস্তিনিরা। আরো একজন ফিলিস্তিনি বলেন, একদিন আমরা আমাদের বির শিভা গ্রামে ফিরব। জেরুজালেমকে মুক্ত করব। আমরা আমাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাব। এটা আমাদের ভূমি। জেরুজালেম আমাদেরই। সাগরই আমাদের। ফিলিস্তিনিদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ইসরাইলকে একদিন না একদিন পিছু হটতেই হবে।

সব খবর