ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ৮:৫২
বাংলা বাংলা English English

রাবিতে মধ্যরাতে রুম থেকে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীকে নির্যাতন


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের মতিহার হলের এক আবাসিক ছাত্রকে মধ্যরাতে রুম থেকে ডেকে নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৯ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে হলের ১৩৬ নম্বর রুমে ভুক্তভোগীকে নির্যাতন করা হয় বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী মো. নুর আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি মতিহার হলের ২৫৪ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার গ্ৰামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।

অভিযুক্ত স্বদেশ, তানভীর, শাহীন, জুবায়ের এবং জারিদ আনাবিল এক‌ই বিভাগের নুর আলমের সিনিয়র শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বাংলা বিভাগের শাহীন ও তানভীর নামে তৃতীয় বর্ষের দুজন শিক্ষার্থী ভুক্তভোগী নুর আলমের রুম এসে ঘুম থেকে জাগিয়ে ব্লকের ১৩৬ নম্বর রুমে নিয়ে যায়। যেখানে ছাত্রলীগ কর্মী স্বদেশ থাকেন। স্বদেশের সঙ্গে তখন ওই রুমে আর‌ও পাঁচজন সিনিয়র উপস্থিত ছিলেন।

 

তারা সবাই মিলে নুর আলমকে মানসিকভাবে অনেক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তানভীর ও জুবায়ের তার মাথার পেছনে অনেক জোরে আঘাত করতে থাকে। তখন সে অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে লিখিত অভিযোগে তিনি প্রক্টরকে জানান।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী নুর আলম বলেন, আমার সাথে তাদের কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। দ্বন্দ্বটা হয়েছে রুম নিয়ে। স্বদেশ আমাকে বলে আমার বরাদ্দপ্রাপ্ত রুমে আমাকে বেডশেয়ার বা ফ্লোরে বেডিং করে থাকতে হবে। আর থাকতে অসুবিধে হলে অন্য ব্লকে চলে যেতে হবে। তাদের কথা মতো না চলায় আমাকে এভাবে র‍্যাগিং করা হয়।

 

অভিযোগের বিষয়ে স্বদেশ বলেন, নুর আলম আমার বিভাগের ছোট ভাই। সে এক বড় ভাইয়ের সাথে বেয়াদবি করায় বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য আমার রুমে ডেকেছিলাম। এসময় আমার সাথে তার বিভাগের চার-পাঁচজন বড় ভাই ছিল। সেখানে তাকে কোনো মানসিক অত্যাচার করা হয়নি।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। আমি হল কর্তৃপক্ষকে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে একটা রিপোর্ট দিতে বলেছি। রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সব খবর