কর বকেয়া এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মতো ইউটিলিটি সংযোগ আগামী অর্থবছর থেকে বিচ্ছিন্ন করার ক্ষমতা পাবেন ভ্যাট কর্মকর্তারা। সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে তারা এ পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব দাবি পরিশোধে ব্যর্থ হলে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্যান্য সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিধান প্রবর্তনের প্রস্তাব করছি।’
বর্তমানে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া রয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। গ্রাহকদের থেকে এসব বিল আদায়ে বেশকিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানিগুলো।
বর্তমানে দেশে ৪ কোটি ২৭ লাখ বিদ্যুৎ ও ৪৩ লাখ গ্যাসের গ্রাহক রয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত এ বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এ হার গত বাজেটে ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস হতে এ ঘাটতি মেটানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত এ বাজেটে ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হবে। অন্যদিকে বৈদেশিক উৎস ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে আবার ১৭ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ হিসেবে পরিশোধ করা হবে। ফলে প্রকৃত বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।
অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে যে ঋণ নেয়া হবে তার মধ্যে ব্যাংকখাত থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা আর অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার ১ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।