ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, বিকাল ৫:৩৫
বাংলা বাংলা English English

সেই ‘দায়িত্ব’ যুক্তরাষ্ট্রকেই দিল চীন


তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শীতল সম্পর্ক চলছে। তবে দুই দেশের বরফ গলানোর দায়িত্বটা যুক্তরাষ্ট্রের ওপরই ছেড়ে দিয়েছে চীন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংহে রোববার বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর করছে।

একটি এশিয়ান নিরাপত্তা সম্মেলেনে চীন কেবল শান্তি ও স্থিতিশীলতা চেয়েছিল এবং বেইজিং আগ্রাসী নয় বলে কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংহে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সংহতি জোরদার করতে এবং সংঘর্ষ ও বিভাজনের বিরোধিতা করার’ও আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শনিবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে আলাপকালে চীন দৃঢ়ভাবে ‘মার্কিন চাপ,অভিযোগ এমনকি হুমকি’ও প্রত্যাখ্যান করেছেন।

পিপলস লিবারেশন আর্মির জেনারেলের ইউনিফর্ম পরিহিত ওয়েই সিঙ্গাপুরে শাংগ্রি-লা ডায়ালগ বলেন, আমরা মার্কিন পক্ষকে চীনকে অপমান করা এবং হস্তক্ষেপ করা বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি। চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা বন্ধ করুন। মার্কিন পক্ষ তা করতে না পারলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হবে না।

মূলত তাইওয়ানের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েই চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তিনি তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে এবং তাইওয়ানে যদি চীন আক্রমণ করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপ করবে।

এর জবাবে শুক্রবার সিঙ্গাপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠকে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন,যদি তাইওয়ান স্বাধীনতা ঘোষণা করে তাহলে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে চীন এক মুহূর্তও ভাববে না।

তাইওয়ান হলো স্বশাসিত, গণতান্ত্রিক দেশ। সেখানকার জনগণ সব সময় একটি আশঙ্কা নিয়ে থাকে, যে কোনো সময় চীন তাইওয়ান দখল করতে হামলা চালাবে।

চীন প্রায়ই বলে তাইওয়ান তাদের অংশ। একদিন এটি তারা দখল করবে বলেও প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে জোর করে তাইওয়ান দখল করার হুমকিও দিয়েছে চীন।

সব খবর