দেশে আবারও বাড়তে শুরু করেছে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। একশো দিনেরও বেশি সময় পর আবারও শনাক্ত ছাড়িয়েছে ৫০০ এর ঘরে।
সংক্রমণের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারাকে কোভিডের চতুর্থ ঢেউয়ের শুরু বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণ বাড়ার পেছনে ভূমিকা রাখছে নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট এমনটাও মত দেন তারা। সেক্ষেত্রে সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও টিকা নেয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওমিক্রনের প্রভাবে দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের মোটামুটি লম্বা সময়ই কেটেছে বেশ স্বস্তির। কোনো কোনো দিন শূন্যের ঘরে ছিল শনাক্ত। মাঝখানে টানা এক মাসের বেশি সময় কোভিডে মৃত্যুহীন দিন কাটিয়েছে বাংলাদেশ।
তবে এবার যেন কাটতে শুরু করেছে স্বস্তিদায়ক সে পরিস্থিতি। দেশের নানা জায়গায় বন্যার মধ্যে নতুন উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে কোভিডের ঊর্ধ্বগতি। তিন মাসেরও বেশি সময় পর রোববার (১৯জুন) দেশে আক্রান্ত শনাক্ত ৫০০ এর বেশি ছাড়ায়। আর শনাক্তের হারও ছাড়িয়েছে ৭ শতাংশ। কোভিড পরিস্থিতিকে স্প্যানিশ ফ্লুর সঙ্গে তুলনা করছেন এক বিশেষজ্ঞ। আবার এবারের ঢেউয়ের পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট, এমনটাও মনে করেন কেউ কেউ।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, যদি স্প্যানিশ ফ্লুর কথা ভাবা হয় তাহলে ওই সময়েও চারটি তরঙ্গ ছিল। সব দেশেই কিন্তু কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, সেরকম আমাদের দেশে ওরকম একটি সময় চলছে।
আরেক বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছেন, কোভিডের এ ঊর্ধ্বগতিতে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে উদাসীন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ সংক্রমণ বাড়তে থাকলে সেটি সার্বিকভাবেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে জনস্বাস্থ্যে।
এ বিশেষজ্ঞ বলেন, নতুন ধরন আসার সম্ভাবনা বেশি। সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। নতুন যে ধরনটি আসবে তার চরিত্র কেমন হবে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।
যারা এখনও টিকার বাইরে কিংবা বুস্টার ডোজ নেয়ার সময় এসেছে, তাদেরকে টিকা নেয়ার পরামর্শ দেন এ বিশেষজ্ঞ।