ঢাকার আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুবীর চন্দ্র দাস হত্যা মামলায় তারই দুই সহপাঠীর মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২০ জুন) আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষে বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এ রায় দেয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- ফরহাদ হোসেন সিজু ও মো. হাসান এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শফিক আহমেদ রবিন ও কামরুল হাসান শাওন। তাদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সিজু ও হাসান পলাতক রয়েছেন।
এদিন আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশিদ বলেন, এ মামলায় আগে থেকেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি পলাতক রয়েছেন, আর যাবজ্জীবন পাওয়া অপর দুইজন কারাগারে রয়েছেন।
২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে’ সাভারের বাসা থেকে সুবীরকে (২২) ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়। পরে সাভারের কোটালিয়া গ্রামে নদীর তীরে একটি ইটভাটার কাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে এ ঘটনায় সুবীরের বাবা গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস সাভার থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।
একই বছরের ২৪ অক্টোবর চার জনের মধ্যে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও অপর দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান। অন্যদিকে বিচারিত আদালতের ওই রায়ে আরেক আসামি রবিনের স্ত্রী লুৎফা আক্তার সনিকে খালাস দেয়া হয়।