বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার শীমন্ত নদী তথা খালের জমি দখল করে পৌরসভার নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে মার্কেট ও দোকানপাট তুলছে একটি প্রভাবশালী মহল। সম্প্রতি খালের পলি অপসারণের সময় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকানপাটের একটি বড় অংশ ভেঙ্গে ফেলা হলেও আবার নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে দোকানপাট। অভিযোগ রয়েছে দোকান প্রতি ৩৫ হাজার টাকা করে চাঁদা তুলে নতুন করে প্রায় অর্ধশত পাকা স্থাপনা করে দিচ্ছে পৌর মেয়র লোকমান ডাকুয়া।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ নষ্ট করে শীমন্ত নদী তথা খালের জমি দখল করে পৌরসভার নাম ভাঙ্গিয়ে মার্কেট ও দোকানপাট তুলছে একটি অসাধু নেতারা। এভাবে খাল দখল করে অবৈধভাবে মার্কেট করার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টিতে আসা দরকার বলে মনে করেন তারা।
তারা বলেন ‘ যেখানে সারাদেশে নদী রক্ষা কমিশন কাজ করছে নদী,খাল বাঁচাতে। সেখানে কিভাবে জনপ্রতিনিধি হয়েও তারা মার্কেট তুলছে তা প্রশ্নবিদ্ধ। আমাদের মহামান্য হাইকোর্ট ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন নদীকে জীবন্ত সত্ত্বা হিসেবে। সেখানে আমরা নিজেরাই কি সেই রায় অমান্য করে চলেছি?
অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ ও খালের পাড় দখলের বিষয় পৌর মেয়র লোকমান ডাকুয়া বলেন ‘ এটি পৌরসভার কাজ না। তবে আমি ওখানের আগের বাজার ঘাটের দোকানদারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তাই দোকান প্রতি ৩৫ হাজার টাকা করে চাঁদা তুলে নতুন করে পাকা স্থাপনা করে দিচ্ছি।’ খালের পাড় দখল করে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনার বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিষয়টি এড়িয়ে যান পৌর মেয়র লোকমান ডাকুয়া।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল বলেন অবৈধ ভাবে খাল করে দোকান উঠানোর বিষয়টা আমার জানা নেই। কেউ যদি সরকারি খাল দখল করে দোকান তৈরি করে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।