বরিশাল ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রকৌশলী মোঃ আমীর হোসাইন এম.এসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক) কুয়েট পরিচালক এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। পরিচালকের পাশকাটিয়ে ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী কল্যান সমিতির নামে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অডিটোরিয়ামে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে একটি সংগঠন অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাগেছে অভিষেক অনুষ্ঠানে অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ আমীর হোসাইন কে পাশ কাটিয়ে তার অনুমোদন ছাড়াই দ্বিতীয় পরিচালক’র ইন্দোনে বেসরকারি এই কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংগঠনের নামে অরজগতা সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে । আরও জানাগেছে অভিষেক অনুষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠানের ক্লাস বন্ধ করে দিয়ে এই সমস্ত অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। এবিষয়ে পরিচালক আমীর হোসাইন বলেন, এই ধরনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সংগঠন বা সমিতি মানেই হলো প্রতিষ্ঠান ধংসের পথে যাওয়া। বিভিন্ন অপকৌশলে এই প্রতিষ্ঠানটি আজধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । প্রতিষ্ঠানটিতে এখন শিক্ষার্থী ভর্তির হার ৩০% এ নেমে এসেছে। কিছু অসাধু শিক্ষক থাকায় ঠিকমত ক্লাস নেননা। টাইম টেবল মেইনটেইন করেনা। শুধু মাস গেলে বেতন নিতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে জাল সার্টিফিকেট তৈরী করে কেয়ারটেকার নিয়োগ দিয়েছে তার মাধ্যমে কত অপকর্ম লুকিয়ে আছে সেগুলো করে থাকে। দীর্ঘ দশ বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানটিতে কোন অনুমোদিত কমিটি নাই।
পরিচালক ইমরান চৌধুরী তার নিজের খেয়াল খুশিমতো তার লোক দিয়ে যেমনতেমন ভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আচ্ছেন। অন্য পরিচালককে পাশকাটিয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার করে থাকেন। পরিচালক আমীর হোসাইন অসহায় হয়ে প্রশাসন সহ সাংবাদিক ও সমাজের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সাহায্য কামনা করেন। প্রতিষ্ঠানের ৫০% মালিকানা থাকা সত্ত্বেও তার কোন মতাতম না নিয়ে একক ভাবে ৮২ বছর বয়সী একজন বয়স্ক লোককে ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ বানিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার জন্য প্রশাসন বোর্ড অধিদপ্তর শিক্ষা মন্ত্রনালয় সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন প্রকৌশলী মোঃ আমীর হোসাইন। এবিষয়ে বাংলাদেশ কারিগড়ি শিক্ষা বোর্ডের সচীব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতি গঠনের কোন বিধান নেই। কেউ যদি এমনটা করে থাকে তবে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। শিক্ষা বোর্ড থেকে আমরা কাউকে কোন অনুমোদন দেই না।