বৃষ্টি আর উজানের ঢলে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা, করতোয়া ও ঘাঘাটের পানি বেড়েই চলেছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন।
গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। এতে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে জেলার চার উপজেলার নদীবেষ্টিত চর, নিম্নাঞ্চল, আঞ্চলিক সড়কসহ নদীতীরের বসতবাড়ি।
গত কয়েক দিন ধরে পানি বৃদ্ধিতে নতুন করে এই জেলায় অন্তত ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এতে এলাকার মানুষ নিজেদের থাকার জায়গা ও গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে।
বানভাসিরা বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় তাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে। নদীভাঙনে ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। সহায়-সম্বল হারিয়েছেন তারা। ভাঙনকবলিত বাসিন্দারা বলেন, সম্বল বলতে তাদের আর কিছুই নেই।
বন্যা ও নদীভাঙন কবলিত বাসিন্দাদের সহায়তার আশ্বাস দেন ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
তিনি বলেন, যদি অবস্থা আরও খারাপ হয়, অবনতির দিকে যায়, তাহলে সাহায্য যাতে সব জায়গায় পৌঁছে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫ টন চালের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পানি বাড়তে থাকায় বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন নদীতীরের বাসিন্দারা।