মৌলভীবাজারের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বৃষ্টিপাত কমে আসায় নদ-নদীর পানি কিছুটা হ্রাস পেলেও হাওড়াঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি কোনো উন্নতি হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) হাওড়ের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ জেলার সাত উপজেলায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি। এখনো হাওড়ের পানিতে বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার একাধিক সড়ক পানিতে নিমজ্জিত। ফলে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগব্যাধি।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের দুর্গত হামরকোনা এলাকার ওলিউর রহমান জানান, কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো কমছে না। হামারকোনার ভাঙন দিয়ে এখনো কুশিয়ারার পানি দ্রুতগতিতে ঢুকছে। এতে সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। এ এলাকার দুর্গত মানুষের কষ্টের শেষ নেই।
তিনি জানান, পানিবন্দি গ্রামগুলোতে খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে পানিতে তলিয়ে গেছে নলকূপগুলো। ফলে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকটও। সাত উপজেলায় সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।