ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বিকাল ৫:৫৭
বাংলা বাংলা English English

রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়বে ব্রেস্ট ক্যানসার!


রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ব্রেস্ট বা স্তন ক্যানসার শনাক্ত করার বিষয়টি বিভিন্ন দেশে চালু রয়েছে। কোনো অস্বস্তি বোধ না থাকায় নারীদের কাছে এ টেস্টটি বেশ জনপ্রিয়।

সাধারণত স্তন ক্যানসার নির্ণয় করতে ‘ক্লিনিকাল ব্রেস্ট এগ্‌জামিনেশন’ অথবা ম্যামোগ্রাফি করতে হয়। তবে এই পরীক্ষা করাতে নারীদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ এই প্রক্রিয়ায় পরীক্ষকের সামনে নারীদের স্তন সম্পূর্ণ উন্মোচন করতে হয়। এভাবে পরীক্ষা করাতে অনেকেই বিব্রত বোধ করেন। এ কারণে অনেক নারীই এই টেস্ট করাতে চান না।

 

তবে নতুন রক্ত পরীক্ষা ( ‘ইজি চেক ব্রেস্ট’) এ সমস্যার সমাধান দিতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ রক্ত টেস্টের মাধ্যমেই ব্রেস্ট বা স্তন ক্যানসার নির্ণয় করা সম্ভব হবে। তাই নারীদের আর অস্বস্তি পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে না।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ নতুন পদ্ধতিতে প্রাথমিক পর্যায়ের ব্রেস্ট ক্যানসারও নির্ণয় করা সম্ভব। গবেষকরা বলছেন, গবেষণায় দেখা গেছে এই রক্তপরীক্ষার ফলাফল ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই সঠিক হয়। আর ক্যানসারের শেষ পর্যায় এই পরীক্ষা ১০০ শতাংশ সঠিক ফলাফল দিতে পারে।

এ বিষয়ে নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকরা জানিয়েছেন, রক্ত পরীক্ষাই নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দেবে টিউমার কোষের মাধ্যমে উৎপাদিত পদার্থের প্রতি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক কতটুকু কাজ করবে, আর তা আদৌ ক্যানসার ঠেকাতে পারবে কি না।

ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলো শরীরে অ্যান্টিজেন (প্রোটিন) তৈরি করে, যা শরীরের বিরুদ্ধে কিছু অ্যান্টিবডি (অটোঅ্যান্টিবডি) তৈরি করতে প্ররোচিত করে। এ অ্যান্টিজেনগুলো শরীরে রক্তের মধ্যে সঞ্চালিত হতে থাকে। আর তা দিয়েই নির্ণয় করা যাবে শরীরে ব্রেস্ট বা স্তন ক্যানসারের বীজ আছে কি না।

গবেষকরা মনে করেন, রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রেস্ট বা স্তন ক্যানসার ধরা পড়ার পর আরও নিশ্চিত হতে একটি ম্যামোগ্রাফি করে নেয়া ভালো। এরপরই টেস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী একজন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত রোগীর।

গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( হু ) ও আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ এ রক্তপরীক্ষাকে অনুমোদন দিয়েছে। ৪০ বছরের বেশি বয়সী নারী, যাদের শরীরে আপাতভাবে স্তন ক্যানসারের কোনও লক্ষণ নেই, তারাও এ মারণরোগের ঝুঁকি এড়াতে বছরে এক বার এই পরীক্ষা করাতে পারেন।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, সংবাদ প্রতিদিন।

সব খবর