কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনো ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম সদর ও উলিপুর উপজেলার অন্তত ৫০টি চর, গ্রাম ও নদীসংলগ্ন গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে। পানিবন্দি রয়েছেন অন্তত ৮০ হাজার মানুষ।
প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকার পাট, ভুট্টা, বীজতলা ও সবজিসহ ফসলের ক্ষেত। বিশুদ্ধ পানি ও গবাদিপশুর খাদ্য সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। যাতায়াতের রাস্তা ডুবে যাওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে চরবাসীর।
এদিকে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে নদী ভাঙনের তীব্রতা। তিস্তা নদীর ১৩টি পয়েন্টে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে রাজারহাটের সরিষাবাড়ী, বুড়িরহাট, উলিপুরের অর্জুন ও বাজারসহ কয়েকটি এলাকায় শতাধিক বাড়ি ও কয়েকশ একর ফসলি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নের হকের চর, গুঁজিমারী, রৌমারী ও রাজীবপুরের কয়েকটি চরের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হয়েছে এবং কয়েকটি এলাকায় জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।