মাত্র ২৬ রানেই ২ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিকোলাস পুরান ও ব্রানডন কিংয়ের জুটিতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল। তাদের ওপর ভর করে ক্যারিবীয়রা মাত্র ১২ ওভারে তুলে নেয় ১০০ রান। এরপর পুরানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন।
উইন্ডসর পার্কে রোববার (৩ জুলাই) এ প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ১৪ ওভার শেষে তিন উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান। কিং ৫১ ও রভম্যান পাওয়েল ৫ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে ইনিংস শুরুর প্রথম ওভারেই তাসকিনকে তুলোধুনা করতে থাকেন মেয়ার্স। সমান এক চার ও ছক্কার মারে তুলে নেন ১৪ রান। পরের ওভারে বল করতে আসা মেহেদীর প্রথম বলেও হাকিয়ে নেন চার। তবে তার ওপর আধিপত্য করতে পারেননি এ ক্যারিবীয় ব্যাটার।
টানা তিন বল পরাস্ত হয়ে, পরের বল স্লোগ সুইপ খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন। আর তাতে তার স্টাম্প ভেঙে দেন মেহেদী। ৯ বল মোকাবিলায় ২ চার ও এক বাউন্ডারিতে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান।
পরের উইকেট পেতে বাংলাদেশকে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সাকিব আল হাসানের বল তুলে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ধরা পড়েন শামার ব্রুকস। ৩ বল মোকাবিলায় কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন ব্রুকস।
এরপর অবশ্য মাঠের আধিপত্য নিজেদের দখলে নেন ব্রানডন কিং ও নিকোলাস পুরান। দুজনের জুটিতে ভর করে ৭০ পেরিয়ে শত রানের পথে উইন্ডিজ। বোলিংয়ে একাধিক পরিবর্তন এনেও এই জুটি ভাঙতে পারছিলেন না অধিনায়ক মাহমুউল্লাহ। তাসকিন, মেহেদী, শরিফুল ও সাকিব ব্যর্থ হলেও শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেক হোসেন আক্রমণে এসে বাংলাদেশকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে মোসাদ্দেককে স্লোগ সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন পুরান। ৩ চার ও এক ছক্কার মারে ৩০ বলে ৩৪ রান করেন। রিভিউ নিয়ে নিস্তার পাননি পুরান। তাতে ভাঙে ক্যারিবীয়দের ৭৪ রানের হার মানা জুটি। ক্রিজের অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে কিং অবশ্য ফিফটি হাঁকিয়ে নেন।