ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ৩:৪০
বাংলা বাংলা English English

বিএনপির অন্তর্কোন্দল নিয়ে মুখ খুললেন মোশাররফ


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘সরকার আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করবে। বাংলাদেশ যেমন বীরের দেশ, বাংলাদেশে তেমন মীরজাফরও আছে। অতএব আজকের প্রয়োজন বীরদের সামনে এগিয়ে থাকা, মীরজাফররা যাতে সামনে আসতে না পারে।’
২০১১ সালে ৬ এপ্রিল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদীন ফারুকের ওপর হামলার দিন উপলক্ষে বুধবার (৬ জুলাই) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আবারও বিএনপির অন্তর্কোন্দলের বিষয়ে সরাসরি মুখ খুললেন বিএনপির কোনো সিনিয়র নেতা।

এ সময় দেশের বিদ্যুৎ সঙ্কট নিয়ে মোশররফ বলেন, ‘আজকে থেকে কিছুদিন আগেও এ সরকারও জানেনা এ দেশে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের লোডশেডিং হবে। যদি জানতো তাহলে পূর্বাভাস দিত। হঠাৎ করে লোডশেডিং কেন হলো। এ জন্য যে আজকে আমাদের যে গ্যাস, গ্যাস থেকে প্রধানত যে বিদ্যুৎ হয়, সেই গ্যাসের যে উত্তোলন, বিতরণ এ ব্যাপারে সরকার ১৪ বছর যাবৎ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটকে খুশি করার জন্য রেন্টাল বিদ্যুৎ নিয়ে আসছে।’

 

দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প হিসেবে কুইক রেন্টালের দুর্বলতা তুলে ধরে ড. মোশাররফ বলেন, ‘এগুলো স্বল্পকালের জন্য নিয়ে আসা, কিন্তু সরকার এগুলো দীর্ঘকালের জন্য নিয়ে আসে। যার জন্য আমাদের (বিএনপির) সময় বিদ্যুতের দাম ছিল ২ টাকার নিচে। সেটা এখন ১০ টাকার উপরে। কেন? ওই সিন্ডিকেটকে লাভবান করার জন্য। এ সময় গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা করা নাই। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত গ্যাসের উপর নির্ভর করতে হয়েছে। এই দূরাবস্থার কারণে আজকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে।’

ইভিএম প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামী নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে কারচুপির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়া এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দেশের মানুষকে নিয়ে আন্দোলনে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদীন ফারুকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সব খবর