ঢাকা, শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সকাল ৮:০৯
বাংলা বাংলা English English

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট আর হার্ট অ্যাটাকের পার্থক্য বুঝবেন যেভাবে


অনেকেই হার্ট অ্যাটাক আর কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন না। অথচ রোগটি মানুষের জনজীবনে এমনভাবে জেঁকে বসেছে যে এই রোগ দুটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে আমাদের জীবনে বিপদের আশংকা আরও বেড়ে যাবে। তাই আসুন জেনে নিই এই রোগ দুটির মধ্যে বিশেষ কিছু পার্থক্য সম্পর্কে।

বর্তমান বিশ্ব তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় আমাদের জীবন যাপনে যে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে তাই শরীরে ডেকে আনে নানা অসুখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ওবেসিটি, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো সমস্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তার হাত ধরেই জন্ম নিচ্ছে হৃদ্‌রোগ। আর এই হৃদরোগেরই দুটি জটিল অবস্থা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং হার্ট অ্যাটাক।

 

চিকিৎসা শাস্ত্রে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলতে এমন এক পরিস্থিতিকে বোঝানো হয় যখন হৃদ্‌পিণ্ড হঠাৎ করে শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। হৃদ্‌পিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় যার ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে। বিশেষ অবস্থায় রোগী অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে।

অন্যদিকে করোনারি ধমনীর মধ্যে যদি ব্লকেজ তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে হৃদ্‌পিণ্ডে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত আসা বন্ধ হয়ে যায়। আর এই অবস্থাকেই চিকিৎসাশাস্ত্রে বলা হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক।

কোনো রোগীর হার্ট অ্যাটাক হলেই কিন্তু হৃদ‌্‌যন্ত্র সম্পূর্ণভাবে কাজ করা বন্ধ করে না, তবে ধীরে ধীরে কাজ করার ক্ষমতা কমে আসে। কিন্তু কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হৃদ্‌স্পন্দন পুরোপুরি থেমে যায়।

এই দুটি রোগের মধ্যে আরও যে বিশেষ পার্থক্য রয়েছে তাহলো হার্ট অ্যাটাক হলেই যে রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে তার কোনও মানে নেই। তবে বেশির ভাগ রোগীরই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার মূল কারণ হার্ট অ্যাটাক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্তের পর কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়। এসময় রোগীর রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। নিশ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

চিকিৎসকরা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কিছু উপসর্গের দিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এগুলো হলো বুকে হালকা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অস্বস্তি বোধ করা এবং মাথা ঘোরানো, অজ্ঞান হওয়া ইত্যাদি। এছাড়া কার্ডিওমায়োপ্যাথি (পেশির রোগ) এবং ইলেক্ট্রোলাইট অস্বাভাবিকতাকেও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ হিসেবে গণ্য করেন গবেষকরা।

সব খবর