ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, সকাল ৮:০৫
বাংলা বাংলা English English

পেট ফেটে জন্ম সেই শিশুকে দত্তক নিতে চান হাসপাতাল মালিক


ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় দম্পতিসহ ৩ জন নিহতের সময় মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেয়া নবজাতকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় জন্ম নেয়া মেয়ে বাচ্চাটি নগরীর লাবীব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে নবজাতকটিকে দত্তক নিতে প্রতিদিনই হাসপাতালে যোগাযোগ করছেন অনেকে।

হাসপাতালটির সত্ত্বাধিকারী মো. শাহজাহান সময় সংবাদকে জানান, গণমাধ্যমে বাচ্চাটির সংবাদ প্রচারিত হলে সবাই তার পরিবারের অবস্থা জানতে পেরে তাকে দত্তক নিতে আগ্রহী হন। যেহেতু বাচ্চাটির বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই, তাই এই শিশুটির ভরণপোষণ থেকে শুরু করে যাবতীয় দায়দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হন অনেকে।

মো. শাহজাহান সময় সংবাদকে আরও জানান, এই বাচ্চাটিকে সুস্থ করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। দত্তক নেয়ার বিষয়ে বাচ্চার দাদা-দাদী পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে লাবীব হাসপাতালের মালিক শাহজাহান জানান, মেয়ে বাচ্চাটাকে লালন পালন করতে দত্তক নিতে আগ্রহী তার স্ত্রী।

এদিকে, বাচ্চাটার সব ধরনের সহায়তার জন্য তার নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়ার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক। এছাড়াও তার যাবতীয় ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

রোববার (১৭ জুলাই) ময়মনসিংহ নগরীর লাবীব হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শারীরিকভাবে শঙ্কা মুক্ত হলেও স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে শিশুটিকে। পরম মমতায় খাওয়ানো হচ্ছে হাসপাতালটির নার্সদের বুকের দুধ।

এর আগে শনিবার (১৬ জুলাই) ময়মনসিংহের ত্রিশালে মহাসড়ক পারাপারের সময় ট্রাক চাপায় স্বামী-অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী-মেয়ের (৫ বছর বয়সী) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত নারীর গর্ভে থাকা নবজাতকটি অলৌকিকভাবে পৃথিবীতে আসে।

আর নিহতরা হলেন- স্বামী জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী রত্না বেগম ও শিশু সন্তান সানজিদা। তাদের বাড়ি ত্রিশাল উপজেলায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে বাড়ি থেকে ত্রিশাল এসেছিলেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই স্বামী-স্ত্রী-শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়। এ সময় ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রত্না বেগমের পেট ফেটে নবজাতক সন্তানটি বের হয়ে আসে।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া নারী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ট্রাকচাপায় তার পেট ফেটে শিশুসন্তানটি বের হয়ে আসে। তবে শিশুটি জীবিত আছে।

সব খবর