কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এক হোটেল শ্রমিক কর্তৃক নিজের অন্ডকোষ কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করার ঘটনা ঘটেছে। তার গ্রামের বাড়ী কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠাল বাড়িতে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দেয়া তথ্য সুত্রে জানা গেছে, শ্রী প্রদিপ চন্দ্র নাগেশ্বরী উপজেলায় বিভিন্ন হোটেলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। প্রায় পনের ষোল বছর পূর্বে রায়গঞ্জ ইউনিয়নের ভইডুবির পাড় (বটেরতল) গ্রামের কল্পনার সাথে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে কোন সন্তানাদি নেই। প্রায় ছয় মাস পূর্বে হোটেলের চাকুরী ছেড়ে দিয়ে বেকার জীবন নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছিল। নাগেশ্বরী চামটার পাড় সাবান অফিসারের বাড়ীতে স্ত্রী সহ ভাড়া বাসায় বসবাস করত। গত ২৪ জুলাই রবিবার সকালে তার ভাড়া বাসায় বাথরুমে গিয়ে নিজের অন্ডকোষ কেটে ফেলে।
এ ব্যাপারে তার নিকট আত্মীয় সদর উপজেলার সুখাতী খেরবাড়ীর নিশি কান্ত জানায়, প্রদিপ আমার ভায়রা ভাই, সে দীর্ঘদিন থেকে বেকার জীবন কাটাচ্ছিল। আমি নিজে তাকে পানের দোকান ধরিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্ত কি কারনে এমন কাজ করেছে তা বলতে পারছিনা।
ওই এলাকার মোস্তফা জামান দুলু জানান, বাসার পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে ভিতরে চিৎকার শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখতে পাই, প্রদিপ বাদ রুমে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পরে আছে।
পরে তার চিকিৎসার জন্য নাগেশ্বরী হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক রিনা আক্তার রুমি জানান, প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ নবিউল হাসান বলেন, এ ব্যাপারে কোন কিছু পাইনি বা কেউ অভিযোগও দেয়নি, কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।