ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, বিকাল ৫:২৭
বাংলা বাংলা English English

পরকীয়ার দায়ে পল্লী চিকিৎসককে গণধোলাই চোরের ১০ দিন, গেরস্থের ১ দিন


কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ধারাবাহিক পরকীয়া করার কারণে এক পল্লীচিকিৎসককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের পাগলারহাট বাজারে। পল্লীচিকিৎসক জিন্নাহ মোবাইলে ওই নারীর সাথে কথা বলার সময় জিন্নাহকে পাগলারহাট বাজার বটতলায় আটক করে বাজারের লোকজন এবং যারা বিষয়টি জানে তারা তাকে এই গণধোলাই দেয়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উত্তর ছাটগোপালপুর গ্রামের মৃত ডাঃ সিরাজুল ইসলামের পুত্র জিন্নাহ দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসার আড়ালে অনেক মহিলা রোগীর সাথে পরকীয়া করে আসছিল।

এই অভ্যাসে তার এলাকার জনৈক ব্যাক্তির স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি তার স্বামীর বাড়ির লোকজন জানার পর কয়েক দফা গোপনে সালিশ-বিচার করা হলেও তাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকে। নারীর দাম্পত্য জীবন প্রায় ১২/১৩ বছর এবং দুটি সন্তানও রয়েছে।

এদিকে স্বামীর কথায় কর্নপাত না করে পল্লীচিকিৎসক জিন্নাহর কথামত পরকীয়া চালিয়ে যাওয়ায় ও তার কথামতো চলার কারনে ওই নারীকে তার স্বামী শাসন করায় স্বামীর সংসার করবে না বলে বাবার বাড়িতে থাকে এবং জিন্নাহর সাথেই নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ গনধোলাইয়ের সময় পাগলার হাট বাজারের কিছু দোকানদার তাকে হেফাজতে নেয়। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত লোকজন লম্পট জিন্নাহর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ পরকীয়া প্রেমিক জিন্নাহকে নিরাপদ হেফাজতে থানায় নিয়ে আসে।

ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আলনগীর হোসেন জানান, তাকে তাৎক্ষণিক জনতার মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে পুলিশ নিরাপদ হেফাজতে থানায় আনা হয়েছে। পরে সংশ্লিষ্ট দুই চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে মুচলেকা নিয়ে তাদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

সব খবর