ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, সকাল ১১:১৯
বাংলা বাংলা English English

তিস্তার গেট খোলার আগে বাংলাদেশকে জানানো উচিত


ভারত উজানের গজলডোবা গেইট খুলে দেয়ার আগে তা বাংলাদেশকে জানানো উচিত, এটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বলে মন্তব্য করেছেন দেশের পানি বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, তিস্তা নিয়ে ভারতের যেমন খুশি তেমন আচরণে শুষ্ক মৌসুমে খরা আর বর্ষায় অকাল ঢলে বানে ভাসে উত্তরাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ।

গত মাসের ধকল শেষ হতে না হতেই; আবারও বানভাসি হলো উত্তরের হাজারো মানুষ। এ সমস্যা নতুন নয়। বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ, তিস্তা যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এক সময় এই নদীকে ঘিরে গড়ে ওঠা জীবিকা, বাঁচিয়ে রাখতো উত্তরের কোটি মানুষকে, সেই নদীই এখন গলার কাঁটা। একদিকে ভাঙন, অন্যদিকে পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন লাখো মানুষ।

ভারতের সঙ্গে এই নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সুরাহা না হওয়াই, এই সমস্যার মূল কারণ। যদিও উজানের ভারতের দিকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিসাব পেতে বরাবরই আশাবাদী ভাটির বাংলাদেশ। যদিও ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মারপ্যাঁচে এই সংকট ঝুলে আছে দীর্ঘদিন ধরে।

সম্প্রতি গজলডোবা গেইট খুলে দেয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে উত্তরের ৫ জেলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অকাল ঢলে ভাটির মানুষ যাতে আগাম সতর্ক হতে পারে সে তা আগে জানিয়ে দেওয়া, ভারতের উচিত ছিল।

 

পানি বিশেষজ্ঞ ম. এনামুল হক বলেন, ভারত যখন গেট খুলে দেয় বা উজানে যখন বেশি বৃষ্টিপাত হয় সেই তথ্যটা দেয়া হলো একটা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের ব্যাপার। তারা তো আন্তরিক নয় আবার আমাদের কূটনীতিবিদ বা সরকার ভারতের কাছে নতজানু। এখন এই দুটোর একদিকে পরিবর্তন দরকার আছে। হয় ভারতকে আন্তরিক হতে হবে অথবা আমাদের নতজানু না হয়ে আমরা যেন একটা বুদ্ধি বা প্রস্তাবনা দিয়ে আমাদের সেসব তথ্য আমরা পেয়েছি সেটা দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়ায় যেতে হবে।

অনেকের মত হলো শুধু ভারতের দিকে তাকিয়ে না থেকে, তিস্তা ঘিরে যে মহাপরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটির কাজ এগিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি বাড়াতে হবে কূটনৈতিক তৎপরতা।

পানি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ এজাজ বলেন, পরিকল্পনা তো অনেক পরে, মহাপরিকল্পনা হচ্ছে আমি আমার অংশে তিস্তা দিয়ে কী করব। আমাদের এদিকে তিস্তার অনেক ভাঙন হচ্ছে তাই সেদিক থেকে সরকারের অবস্থান থেকে কিছু করতে হবে। এটা জান মালের নিরাপত্তার বিষয় কিন্তু যে কারণে ভাঙন বা যে কারণে বন্যা হচ্ছে সেটা হচ্ছে আন্তসীমান্তের ব্যর্থতার কারণ।

তারা বলছেন, ভারত যেহেতু বৃহৎ দেশ, তাই তার কাছ থেকে মহৎ উদ্যোগই আশা করে ভাটির বাংলাদেশ।

সব খবর