হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সংবাদে পঞ্চগড়ের পেট্রোল পাম্পগুলোতে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে তেলের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশ্ববাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করতে ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম কার্যকর হবে।
তবে রাত থেকে শহরের প্রতিটি তেলের পাম্পে পর্যাপ্ত জ্বালানি তেল থাকলেও মালিকরা বাড়তি মুনাফার আশায় তেল বিক্রি বন্ধ রাখেন।
এ দিকে একই কারণে পাম্পগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন বাইক, বাস, ট্রাক চালকরা।
দীর্ঘ সময় এ পাম্প ও পাম্প ঘুরেও মেলেনি জ্বালানি তেল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
ভুক্তভোগী মো. শাহ আলম ও আতাউর রহমান সময় সময় সংবাদকে বলেন, খবর পেয়ে পাম্পে এসে দেখি তারা তেল সরবরাহ করছে না। বাড়তি দামে বিক্রির জন্য পাম্প মালিকরা তেল মজুত রেখেছেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করে থাকে। ভারত গত ২২ মে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করেছে যা অদ্যাবধি বিদ্যমান। এই মূল্য বাংলাদেশি টাকায় যথাক্রমে ১১৪.০৯ টাকা এবং ১৩০.৪২ টাকা। (১ রুপি = গড় ১.২৩ টাকা)। অর্থাৎ বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা কমে বিক্রয় হচ্ছিল। মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা ছিল।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে ( ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে (সকল পণ্য) ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। বর্তমানে, আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখাতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল।