ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ১১:০৮
বাংলা বাংলা English English

ভোলা শহরে গভীররাতে তিন দোকানে দুর্র্ধষ ডাকাতি!


ভোলায় দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ার জের ধরে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গভীর রাতে ডাকাতরা ওই তিন দোকানে হামলা,ভাংচুর শেষে ব্যাপকহারে লুন্ঠন চালিয়েছে। শুক্রবার দিনগত রাতে শহরের মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনাল এলাকার জহুরুদ্দি মিয়ার বাড়ীর সামনে এঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও দোকানগুলোর মালিক রুবেল,ইব্রাহিম ও নুরনবী জানান,পার্শবর্তী রতনপুর গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসাী এবং অন্য উপজেলার তাদের সঙ্গীয় কয়েকজন ডাকাত- বিল্লাল,পারভেজ,ফরহাদ, হাসনাইন,সোহাগ,শাহীন,ইমাম,খোকন,হাসান,
মাসুদ, ফারুক ও মুনছুর সর্দারসহ ১০/১৫ জন স্বশস্ত্র ক্যাডার এই ডাকাতির ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো। ঘন্টাব্যাপী ডাকাতির পর খবর পেয়ে ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশের উপপরিদর্শক আলী আকবরসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দোকান মালিকরা অভিযোগ করেন, এসমস্ত সন্ত্রাসীরা বেশ কিছুদিন ধরে তাদের কাছ থেকে মাসিকহারে ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবী করে। ওই টাকা দিতে ব্যবসায়ীরা অস্বিকৃতি জানালে শুক্রবার রাতে এসব দোকানগুলোতে গণডাকাতি চালানো হয়। ব্যবসায়ীরা জানান,ডাকাতরা তাদের দোকান থেকে নগদ কমপক্ষে সাড়ে ৩ লাখ টাকা লুটে নেয়। গনলুট শেষে ক্যাডাররা ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কুপিয়ে ও দুমরে মুচড়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এরপুর্বে গত ৩১ জুলাই এ সমস্ত সন্ত্রাসীরা একই এলাকার বাসিন্দা সাকিল ও ইব্রাহিম নামের দুই যুবককে পিটিয়ে জখম করেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের দূ’জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এসব ঘটনার পর ওই এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেছেন ঘটনার অধিকতর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া।

সব খবর