দিঘলিয়া উপজেলার রাধামাধব পুর এর হাফিজ মল্লিক এর কন্যা কোলকাতার বাদল ঘোষ কে বিয়ে করে কয়েক মাসের মধ্যে ডায়মন্ড স্বর্ণ অলংকার সহ প্রায় ৭০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে উধাও ।
দিঘলিয়া উপজেলার রাধামাধব পুর এলাকার বাসিন্দা হাফিজ মল্লিক এর দুই কন্যা রানী ও রত্না , তারা কয়েক বছর আগে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করে ।
রানী খাতুন কোলকাতা মহারাষ্ট্র শহরের এক ধনী পরিবারের বাদল ঘোষ নামে এক যুবক কে হিন্দু ধর্মের নীতি অনুযায়ী বিবাহ করেন এবং ঐ দেশের নিয়ম অনুযায়ী তার নামে নাগরিকত্ব হিসেবে এন আইডি কার্ড ও আদার কার্ড ও হয় ।
রানী খাতুন এর পরিবর্তনে নাম হয় রানি ঘোষ ।
কিন্তু কয়েক মাস রানী ঘোষ বাদল ঘোষের সংসার করে ।
পরে বাংলাদেশী রনি নামে এক যুবকের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে ।
বাদল ঘোষ যাতে ঐ পরকীয়া বুঝতে না পারে সে জন্য প্রায় সময় রানী , বাদল ঘোষ কে খাবার এর সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দিতো ।
একপর্যায়ে রানী ঘোষ তার নিজের ফায়দা লুটতে বাদল ঘোষ এর বাড়িতে থাকা
ডায়মন্ড স্বর্ণ অলংকার সহ প্রায় ৭০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে উধাও হয় ।
এবিষয়ে বাদল ঘোষ মহারাষ্ট্রের বাতলা থানায় একটি মামলা ও করেন ।
কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি একপর্যায়ে বাদল ঘোষ ভার্চুয়ালি প্রতিবেক কে জানান , অনেক খোঁজা খুঁজি করে ও রানী ঘোষ এর সন্ধান পায়নি ।
রানী ঘোষ এর বড় বোন রত্না বর্তমানে ঐ শহরে থেকে বাতলা শহরের পতিতার মুল এজেন্ট হিসেবে নিয়জিত রয়েছে ।
বাদল ঘোষ আরো বলেন তিনি খবর নিয়ে জানতে পারে রানী ঘোষ বাদল ঘোষের বাড়িতে থাকা ডায়মন্ড গোল্ড , বিভিন্ন দামী মালামাল নিয়ে উধাও হয়ে নিজের বাবার বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার রাধামাধব পুর গ্রামে আসে ।
মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে আবার রানী ঘোষ মুম্বাইয়ে ফিরে যায় ।
তবে বর্তমানে উক্ত দুই বোন রানী ঘোষ , ও রত্না সনাতন ধর্মালম্বী পরিচয়ে মহারাষ্ট্রের বাতলা শহরে পতিতার মুল এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে বলে জানা যায় ।