ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ৯:৫৬
বাংলা বাংলা English English

২২ বছরের ছাত্রকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া সেই কলেজ শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার”


বিয়ের ঘটনা জানাজানি হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার একমাস যেতে না যেতেই ফেসবুকে প্রেম করে নাটোরের এন এস কলেজছাত্র মামুনকে (২২) বিয়ে করা গুরুদাসপুরের খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা মোছা. খাইরুন নাহারের (৪০) মরদেহ নাটোরে তাদের ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (১৪ আগষ্ট) ভোরে নাটোর শহরের ভাড়া বাসা বালারিপাড়া এলাকার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাছিম আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

ভবনের বাসিন্দা ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার ভোরে মামুন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানান, তার স্ত্রী খায়রুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন। লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের মরদেহ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পায। তাদের সন্দেহ হওয়ায় তারা মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।

সহকারী অধ্যাপিকা খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামী মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামেরর মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

 

এর আগে এক ছেলের জননী খায়রুন নাহারের সাথে আগের স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছিল ।পূর্বে দেয়া তার বিয়ে সম্পর্কিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, ফেসবুকে ছয় মাসের প্রেমের পর গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে মামুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাস পর গত জুলাই মাসে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়। আলোচনা সমালোচনা কে তারা দূরে ঠেলে দিয়ে দাম্পত্য জীবনে ভালোই ছিলেন বলে সে সময় বিভিন্ন মিডিয়ায় সাক্ষাৎকারও দিয়েছিলেন।

 

নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাছিম আহমেদ বলেন, মামুনকে থানায় নিয়ে তারা তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্ত শেষে ও মরদেহের ময়নাতদন্ত হলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মহসিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামুন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে, ভোরে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলেই আছে, মামুনের বক্তব্য অনুযায়ী তার স্ত্রী অধ্যাপিকা খাইরুন নাহার ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করে, তবে নিহতের মরদেহ মেঝেতে পাওয়া যায়। পাশাপাশি ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট বিষয়টি তদন্ত করতে রাজশাহী থেকে আসছে, কাজেই মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট, সিআইডির ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট ও অন্যান্য তদন্তের পূর্বে নিহতের কারণ সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পরেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে যে সেটি হত্যা না আত্মহত্যা।

সব খবর