রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার চাপায় ৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এলে এটি রিট আকারে নিয়ে আসতে বলেছেন উচ্চ আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ একথা বলেন।
দুর্ঘটনাটি নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন, অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল ও অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুজ্জামান।
তারা আদালতের কাছে সুয়োমোটো (নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষায় আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করলে তাকে সুয়োমোটো রুল জারি বলে) আদেশ প্রার্থনা করেন। তখন আদালত বলেন, আপনারা রিট আবেদন নিয়ে আসেন। তখন আমরা শুনব।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরার জসীম উদ্দীন মোড়ে আড়ংয়ের সামনে নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে একটি প্রাইভেটকারের পাঁচ আরোহী নিহত হন। এছাড়া দুই যাত্রীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়।
জানা গেছে, বৌভাত খেয়ে প্রাইভেটকারে নবদম্পতিকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন স্বজনরা।
পথিমধ্যে উত্তরার জসীম উদ্দীন মোড় সংলগ্ন সড়কে বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার পড়ে নিহত হন ৫ জন। প্রাইভেটকারে ৭ আরোহীর মধ্যে শুধু বেঁচে যান বর হৃদয় (২৬) ও নববধূ রিয়া মনি (২১)। শনিবার (১৩ আগস্ট) বিয়ে হয় তাদের। প্রাইভেটকারে আরোহীদের মধ্যে ছিলেন হৃদয়ের বাবা রুবেল (৬০), হৃদয়ের শাশুড়ি ফাহিমা (৪০), রিয়া মনির খালা ঝরনা (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরনা আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেছেন। মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন।
মামলায় ক্রেনের চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গেজহুবা গ্রুপ করপোরেশন (সিজিজিসি) ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। ব্যক্তি হিসেবে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতদের।