কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সদর ইউনিয়নে একজনের স্ত্রীর সাথে প্রতিবেশী ছেলের পরকীয়া করে শারীরিক সম্পর্কের ঘটনা ঘটেছে এবং স্বামী এসে তার স্বচক্ষে দেখে ফেলেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে (২৪ আগষ্ট) বুধবার দুপুরে স্বামীর নিজ বাড়ি সদর ইউনিয়নের ভোটহাট গ্রামে ।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের ভোটহাট গ্রামের তমছের এর ছেলে আলমগীরের(২৬) সাথে নাগেশ্বরী পূর্ব জামতলা গ্রামের ভূট্টুর মেয়ে নিশির(২২) প্রায় সাড়ে তিন বছর পূর্বে বিয়ে হয় ।
মোঃ আলমগীর হোসেন বুধবার (২৪ আগষ্ট) দুপুরে কাজ থেকে বাড়িতে এসে তার স্ত্রীকে একই গ্রামের নুরুল হক এর ছেলে মোঃ মাছেদুল ইসলামের সাথে আপত্তিকর(অর্ধ উলঙ্গ) অবস্থায় দেখে।
বিষয়টি নিয়ে মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আমাকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কথা বলতে মানা করেছেন অর্থাৎ আমার এ ব্যাপারে কথা বলা নিষেধ আছে। আমি বিয়ে করেছি প্রায় সাড়ে তিন বছর পূর্বে। ঘটনার দিন আমি ঘাস কাটতে গিয়েছিলাম। আমার বাবা-মা সাগাই(আত্মীয়) বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। আমি বাড়ি এসে দেখি আমার স্ত্রী ও মাছেদুল ইসলাম ঘরের ভেতরে অর্ধ উলঙ্গ ও অন্তরঙ্গ অবস্থায়। তাদের দুজনের গায়ে শরীরের কোমরের নিচের কোন কাপড় ছিল না, শুধু গায়ে জামা পরা ছিল।
প্রায় এক বছর পূর্বে মাছিদুল আরেকটা মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলো সেসময় এলাকার দেওয়ানি (নেতা, পাতি নেতা) দের ক্ষতিগ্রস্ত মেয়েকে ৭০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে দিয়ে তার সমাধান করে। তার মধ্য থেকে নেতারা আবার ৫ হাজার টাকা খেয়ে ফেলে। টাকা খাইয়ে সেসময় মেয়েটার বাড়িতে চাপ দিয়ে বিষয়টির সমাধান করে দিয়েছে।
স্ত্রীকে মাছিদুলের সাথে এই অবস্থায় দেখে আলমগীর আর মাছিদুলের সাথে হাতাহাতির সময় কিছু ছেলে তা দেখে ফেলে । এ সময় হাতাহাতি করে ছেলেটিকে ধরতে পারেনি আলমগীর তার আগে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে এলাকাবাসীর কয়েকজন নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, লোকটি সম্পদশালী ও প্রভাবশালী হওয়ায় এর পূর্বেও এরুপ ঘটনা ঘটিয়ে টাকা পয়সা ও প্রভাব খাটিয়ে সেই বিষয়গুলোকে ধামাচাপা দেওয়া হয়, এ ঘটনাটিও তেমন হয়েছে, ছেলেটি ঘটনার পর ঢাকায় পালিয়ে গেছে বলেও জানান স্থানীয় নাম না প্রকাশ করা ব্যক্তিরা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার কে প্রশ্ন করা হলে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল হাই এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল, চুপেচাপে হয়তো মেলামেশা হয়েছে। ঐদিন আবার আলমগীর ঘাস কাটতে গিয়েছিল, পরে এসে দেখতে পায় যে, ওরা দুজনে একই ঘরের মধ্যে। মাছেদুর ওই দুর্ঘটনার পরই ঢাকা চলে গেছে। তিনি আরো বলেন, মাছেদুরকে আনার জন্যে তাঁর গার্জিয়ানকে প্রেশার দেওয়া হয়েছে। আলমগীরের স্ত্রী ঘটনার পর বর্তমানে পাশে থাকা তার ফুফুর বাড়িতে আছে, তাকে সেই বাড়িতে রাখা হয়েছে। মাছেদুর এর পূর্বেও জরিমানা দিয়েছে, এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করেন।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।