ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, দুপুর ১২:৩৩
বাংলা বাংলা English English

সচেতনতা বৃদ্ধি করে তামাকের ব্যবহার অর্ধেকে কমিয়ে আনা সম্ভব : বাণিজ্যমন্ত্রী


ঢাকা, ২৮ আগস্ট, ২০২২ : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সচেতনা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার অর্ধেক কমিয়ে আনা সম্ভব এবং একইসঙ্গে ক্রমান্বয়ে তামাকমুক্ত দেশ গড়ে তোলা যাবে। তিনি তামাক বিরোধী সচেতনতা তৈরিতে প্রচার মাধ্যমকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে করণীয়’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার স্বাস্থ্য, জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। সরকার তাই বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছে এবং তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন শীর্ষক সাউথ এশিয়ান স্পিকারস সামিটে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল করার ঘোষণা দেন। এ ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ চলছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তবে তামাক শিল্পের সঙ্গে অনেক মানুষ জড়িত আছে, তাদের বিকল্প কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করণীয় সবকিছু করা হবে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতা এবং অর্থনৈকিত মুক্তির জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন। তিনি আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী ও ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস এর লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খন্দকার, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার সৈয়দ মাহফুজুর হক, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের হেলথ ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন হেলথ সেন্টারের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান।

সব খবর