‘সারের অভাব’ বলে মিথ্যা রটিয়ে একটি গোষ্ঠী আতঙ্ক তৈরি করছে। ফলে কিছু অসাধু ডিলার এর সুযোগ নিচ্ছে। এমন মন্তব্য করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আসলে দেশে সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। সার নিয়ে অহেতুক অস্থিরতা তৈরি করলে কেউই রেহাই পাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মন্ত্রী।
রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার এবং বিএডিসি ও বিসিআইসির সার ডিলারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যিনি যে এলাকায় ডিলারশিপ নিয়েছেন তাকে সে এলাকায় সার বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিন কতটুকু বিক্রি হলো, কতটুকু অবশিষ্ট থাকল তা নিয়মিতভাবে রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
খাদ্যবান্ধব এবং ওএমএসের চাল বিতরণে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলা, উপজেলা ও পৌর এলাকায় খাদ্যবান্ধব এবং ওএমএসের চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। এ সময় চাল বিতরণে যেন কোনো অনিয়ম না হয় তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব বিশ্বজুড়ে পড়েছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিরূপ আবহাওয়া হলে আমনের উৎপাদন কম হতে পারে। সেজন্য আমরা সতর্কতা হিসেবে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছি। এরই মধ্যে বেসরকারি চাল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ রেগুলেটরি ট্যাক্স কমিয়েছি। আজই হয়তো গেজেট জারি হবে।’
এ সময় জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদি হাসানের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা ফারুখ হোসেন পাটোয়ারী, নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবু হাসান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
জেলায় এক লাখ ১৯ হাজার ভোক্তা খাদ্যবান্ধব এবং ওএমএস কর্মসূচির আওতায় স্বল্পমূল্যে চাল কেনার সুবিধা পাবেন বলে সভায় জানানো হয়।