ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, বিকাল ৪:১৭
বাংলা বাংলা English English

দুবাইয়ে স্বর্ণ ব্যবসা চাঙ্গা করতে ব্যস্ত বাংলাদেশিরা


সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চায় বাংলাদেশি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান। আগামীতে দুবাইতে গোল্ড রিফাইনারি খোলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি অলংকারের ডিজাইনকে বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে দিতে চান ব্যবসায়ীরা।

দীর্ঘদিন ধরে দুবাই গোল্ড মার্কেট বিশ্ববাজারে এক অভিজাত নাম। স্বর্ণ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজার হলো এটি। প্রতিদিন মিলিয়ন থেকে বিলিয়ন ডলার এই মার্কেটে আদান-প্রদান হয়ে থাকে। এক সময় বাংলাদেশিরা এই মার্কেটের ছোটখাটো ক্রেতা হলেও বর্তমানে তারা নিজেদের বিক্রেতায় পরিণত করছে ধীরে ধীরে। গত এক বছরে এখানে হিসাব করলে দেখা যায় বহু বাংলাদেশি প্রবাসী বিশাল অংকের বিনিয়োগের মাধ্যমে শোরুম প্রতিষ্ঠা করেছে এই বাজারে।

দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন দিগন্তের উম্মোচন হতে যাচ্ছে এই স্বর্ণ ব্যবসায়। বাংলাদেশিরা দুবাই ও উত্তর আমিরাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, নতুন একটি শাখা খুলেছেন তারা। অনেক ভালো লাগছে। আমি এবং বুলবুল ভাই দুজনই এখানে আসতে পেরে ভালো লাগছে।

 

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের আরেক সাবেক ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সব জায়গায় আমাদের প্রতিনিধিত্ব আছে। সোনার মার্কেটেও আমাদের প্রতিনিধিত্ব শুরু হলো। আমি আশা করছি, আমরা যারা বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষ আছি তাদের সহায়তা করব।

দুবাই গোল্ড মার্কেটের অন্যতম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের নাম এনআরআই জুয়েলারি। গত এক বছরে এ প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৫০ জন বাংলাদেশির। আগামী এক বছরে আরো ১০০ জন দক্ষ বাংলাদেশি স্বর্ণ কারোকার এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এ প্রতিষ্ঠানের কর্তারা। বর্তমানে তিনটি অভিজাত শোরুম নিয়ে এনআরআই জুয়েলারি গোল্ড মার্কেটে বাংলাদেশি পতাকা বহন করলেও অচিরেই রিফাইনারি খুলে বাংলাদেশি কারিগরদের দক্ষতা বিশ্ব বাজারে ছড়িয়ে দিতে চায় এই প্রতিষ্ঠানটি।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, গোল্ড মার্কেটে বিনিয়োগ একটি সাহসী উদ্যোগ প্রবাসীদের। তাছাড়া যে হারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হচ্ছে তা অত্যন্ত ইতিবাচক দিক। এর ফলে বাংলাদেশের রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হবে ব্যাপক।

সব খবর