বাঁচা-মরার ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে ১৯৩ রান করেছে পাকিস্তান। এটি এবারের এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯২ রান করেছিল ভারত। সুপার ফোরের টিকিট কাটতে হলে হংকংকে করতে হবে ১৯৪ রান।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংসের প্রথম ওভারটি দুর্দান্তভাবে শেষ করেন হারুন আরশাদ। ৪টিই ডট বল দেন তিনি, খরচ করেন মাত্র ২ রান। পরের ওভারে পাকিস্তান তুলে ৫ রান। হংকং অধিনায়ক নিজাকাত খান পরের ওভার করতে ডাকেন এহসান খানকে। প্রথম ২ বলে ২ রান দিলেও তৃতীয় বলে এহসান তুলে নেন বাবর আজমকে। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন তিনি। আউট হওয়ার আগে পাকিস্তান দলপতি ৮ বলে করেন ৯ রান।
বাবর আজম আউট হয়ে গেলে ক্রিজে আসেন ফখর জামান। রিজওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাওয়ার প্লে শেষে মন্থর গতির ব্যাটিংয়ের বাইরে যেতে পারেননি তিনি। পাওয়ার প্লে শেষে স্কোর বোর্ডে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪০ রান। গাজানফারের করা নবম ওভারে ফখরকে আউট দেন আম্পায়ার। তবে পাকিস্তানি ব্যাটার রিভিউ নিলে দেখা যায় বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে, ফখরও বেঁচে যান, ফিরতে হয়নি প্যাভিলিয়নে।
দলীয় ১৪তম ওভার থেকে কিছুটা মেরে খেলতে চেষ্টা করে রিজওয়ান ও ফখর জুটি। দুজনই পান হাফসেঞ্চুরির দেখা। ৪২ বলে অর্ধশত রান পূর্ণ করেন রিজওয়ান। ৪১ বলে ৫৩ রান করে ফখর আউট হন এহসান খানের বলে। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মার। শেষ পর্যন্ত ৭৮ রানে অপরাজিত থাকা রিজওয়ানের ৫৭ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চার ও একটি ছয়ের মার। খুশদিল শাহের ব্যাট থেকে ১৫ বলে আসে ৩৫ রান।
পাকিস্তান একাদশ
মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম, ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, শাদাব খান, আসিফ আলি, মোহাম্মদ নেওয়াজ, হারিস রউফ, নাসিম শাহ ও শাহনেওয়াজ দাহানি।
হংকং একাদশ
নিজাকাত খান, ইয়াসিম মুর্তাজা, বাবর হায়াত, কিঞ্চিং শাহ, আইজাজ খান, জিশান আলি, স্কট ম্যাককিনি, হারুন আরশাদ, এহসান খান, আয়ুশ শুকলা ও মোহাম্মদ গাজানফার।