নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপিকে দায়ী করা হয়েছে। মামলার বাদী ও নিহত শাওনের বড় ভাই মিলন এজাহারে এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
এজাহারে মিলন উল্লেখ করেন, তার ছোট ভাই শাওন ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ২ নম্বর রেলগেট এলাকার পাকা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। ওই সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মিছিল চলছিল। এক পর্যায়ে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের পাঁচ হাজারের অধিক নেতাকর্মী পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল, ককটেল ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি নিক্ষেপ করে। সেই অবৈধ অস্ত্রের গুলি ও ইটের আঘাতে শাওন আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। পরে তাকে সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে শাওনের বড় ভাই মিলন হাসপাতালে গিয়ে ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।
তবে এই এজাহারের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করছেন নিহত শাওনের অন্য ভাই ফরহাদসহ পরিবারের স্বজনরা। এ ব্যাপারে প্রশ্নও তুলেছেন তারা।
নিহত শাওনের ভাই ফরহাদ সময় সংবাদকে বলেন, মামলার বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। শুনেছি আমার আরেক ভাই মিলনকে নাকি বাদী করা হয়েছে। কিন্তু মামলায় কী লেখা হয়েছে আমরা পরিবারের কেউ এই ব্যাপারে কিছু জানি না। তবে ভিডিওতে যেটা দেখেছি, আমার ভাই শাওন বিএনপির মিছিলে রক্তাক্ত আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। সে সময় বিএনপির মিছিলের লোকেরাই আমার ভাইকে কোলে করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
শাওনের মৃত্যুর ঘটনায় কারা দায়ী এমন প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ বলেন, কাদের গুলিতে আমার ভাই মারা গেছে সেটা পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করুক। ভিডিওগুলো দেখুক। তাহলেই প্রমাণ হবে বিএনপি দায়ী নাকি পুলিশ দায়ী।
এদিকে মামলার বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. অমীর খসরু বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে শাওনের মৃত্যুর কারণ ও কারা এর সাথে জড়িত তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তবে মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গত ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে শাওন নিহতের ঘটনায় রাতেই সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন তার বড় ভাই মিলন। মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত এই মামলায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।