ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, সন্ধ্যা ৬:৩৩
বাংলা বাংলা English English

আগৈলঝাড়ায় সন্ধ্যা নদী দখলকরে স্থাপনা তৈরি


বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা, আমবৌলা ও পয়সা নামক স্থানে স্থানীয় প্রভাবশালীরা সন্ধ্যা নদীর অংশ ভরাট করে দখল করে রড, সিমেন্ট, ইট, বালু, পাথর ও স্ব-মিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ইমারত গড়ে তুলেছে। এ কারণে নদীর নাব্যতা হারিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বাকাল ও বাগধা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সন্ধ্যা নদী। ওই নদীর বাগধা নামক স্থানে নদী দখল করে ভরাট করে প্রভাবশালী মো. সান্টু বাহাদুর মেসার্স লিমা এন্টারপ্রাইজ, পয়সা সেতুর নিচে বালুদিয়ে ভরাট করে দখল করে নিয়েছে আবুল শিকদারে ছেলে মো. কাওছার শিকদার, আমবৌলা স্লুইজ গেট সংরগ্ন নামক স্থানে দখল করে মো.কবির খান, বাগধা গ্রামের গাউস বক্তিয়ারসহ অনেকে রড, সিমেন্ট, ইট, বালু, পাথর ও স্ব-মিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ইমারত গড়ে তুলেছে। অবৈধ দখলের কারণে সন্ধ্যা নদী সংকুচিত হয়ে পরায় নদীর বিভিন্ন স্থানে চর জেগে ওঠায় লঞ্চ ও নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসন নদীর অবৈধ দলখলদারদের তালিকা তৈরি করলেও দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়াতে দিন দিন নদী দখল হচ্ছে। স্থানীয়রা মনে করেন নদীর খর¯্রােতা এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে দখলদারদের উচ্ছেদ করা দরকার।
এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা সন্ধ্যা নদী দখলদারদের তালিকা তৈরি করেছি। স্থপানা অপসারনে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তাদের একটি সময় সিমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সময়রে ভিতরে না নিলে উচ্ছেদ করা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতো মধ্যে আমার রোববার সরেজমিন পরি দর্মন করেছি। আমরা মাইকিং করে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি। যার যার মামলা মাল সরিয়ে নিতে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধ আবদুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেহের নিগার তনু, বাগধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি, পুলিশের এসআই খায়রু ল ইসলাম সহ স্থানীয় জনগণ।
এব্যাপারে অভিযুক্ত দখলদার মেসার্স লিমা এন্টারপ্রাইজ মালিক সান্টু বাহাদুর বলেন, আমার দলিলকৃত জায়গায় আমি ব্যবসা করছি। আমি নদী দখল করি নাই। আমা জমি নদীতে ভেংগে গেছে।
মো. কাওছার শিকদার এর পিতা আবুল শিকদার বলেন, আমরা নদী কিছু অংশ দখল করে বালুদিয়ে ভরাট করেছি। নদীর জায়গা থেকে আমারা মালামাল সরিয়ে নিবো। এ ব্যাপারে মো.কবির খান কে বারবার যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি বলে বক্তব্য দেয়া যায়নি।

সব খবর