ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ৩:৩১
বাংলা বাংলা English English

প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সম্পর্কে জানলে লিঙ্গ বৈষম্য কমে যাবে : শিক্ষামন্ত্রী


ঢাকা, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম বড় বিষয় হচ্ছে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সম্পর্কে জানা। প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সম্পর্কে জানলে লিঙ্গ বৈষম্য কমে যাবে।
তিনি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জেনারেশন ব্রেক থ্রু প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) নিয়ে জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যখনই যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনভাবে মানুষ জানবে তখন একে অপরের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবে না; একসঙ্গে মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তাহলে সুস্থ ও উন্নত সমাজ গঠন করা সম্ভব হবে। সঠিক তথ্য যদি সঠিকভাবে কিশোর-কিশোরীদের কাছে যদি পৌঁছানো যায় তাহলে অনেক সমস্যা থেকে তাদের দূরে রাখা যায়।
‘মাদ্রাসাগুলোতেও এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে পৌঁছালে তারা ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সময়ে কিশোর কিশোরী বয়সে একটা রুপান্তর ঘটে। নানা রকম বোধ হতে থাকে কখনও খারাপ লাগে কখনও ভালো লাগে। তাদের মন অনুসন্ধিৎসু থাকে, কিন্তু তারা অনেক সময় সঠিক তথ্য পায় না, তখন নিজেদের মধ্যে অনেক রকম ভুল-ভ্রান্তি এসে জমা হয়। তারা শারীরকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, মানসিকভাবে তো বটেই। কিশোর-কিশোরী জীবনের ভুলভ্রান্তি গুলো পরবর্তী জীবনেও নিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ফলে লিঙ্গ বৈষম্যের সৃষ্টি হয়, নানা নির্যাতনের ঘটনাও ঘটে। লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে লিঙ্গভিত্তিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। আমরা অনেক সময় মনে করি, যৌন নির্যাতন শুধু নারীর ওপরই ঘটে তা শুধু নয় পুরুষের ওপরও ঘটে।
দীপু মনি আরো বলেন, ‘নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে কিশোরদের ওপর নির্যাতন ঘটে। যদি না জানা থাকে তাহলেই কেবল কিশোর- কিশোরীর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। কারণ সে জানে না সে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কিনা? নির্যাতন কিনা সেটা যেমন সে জানে না, নির্যাতনের শিকার হলে কী করতে হবে তাও সে জানে না।’
দীপু মনি বলেন, জেনারেশন ব্রেক থ্রু প্রকেক্টে যুক্ত ছিলো শুধু তারাই এই শিক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তারা জেনে অন্যদের শেয়ার করছে। অন্যদেরও জানাতে পারছে তাদের দক্ষতাগুলো।

সব খবর