দীর্ঘ এক বছর যাবৎ আগে জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে মারামারি তে রুপ নেয় ।
প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয় ।
কিন্তু ১৪ দিন আগে রহিমা বেগম হঠাৎ করেই নিখোঁজ হন ।
১৪ দিন অতিবাহিত হলেও তার সন্ধান মেলেনি ।
রাজপথে মেয়ে মরিয়ম । মরিয়মের দাবী প্রশাসন ইচ্ছা করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমার মা কে উদ্ধার করে দিতে পারে ।
মরিয়ামের একটাই প্রশ্ন আমার মা কোথায় ।
আমি আমার মা কে চাই ।
আমার মা আজ ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ হয়ে আছে ।
আমরা আমাদের দুইচোখের পাতা এক করতে পারছি না । খেতে পারছি না ।
পাগলের মতো মা’কে আমরা রাস্তায় রাস্তায় খুজতেছি ।
কোথায় কোথায় যাইনি আমি আমার মা’কে খুজতে ।
সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর পক্ষে তাকে খুঁজে বের করা বা তাকে যদি অপহরণ করা হয়ে থাকে তাহলেও কারা এটা করছে সেটা বের করা কঠিন কিছু না ।
কথাগুলি বলছিলেন নিখোঁজ হওয়া রহিমা বেগমের সন্তান মরিয়াম ।
শুক্রবার বিকেলে খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে নিখোঁজ রহিমা বেগমের সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন করে তাঁর সন্তানরা ও এলাকাবাসী ।
মরিয়াম আরও বলেন , ‘ আমরা যে কোন মূল্যে আমাদের মা’কে খুঁজে পেতে চাই ।
সরকারের কাছে এবং প্রশাসনের কাছে আমার একটাই অনুরোধ আমার মাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন ।
রহিমা বেগমের একমাত্র ছেলে এম এ সাদী বলেন , সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন , আমার মা’কে ফিরিয়ে দিন ।
আমরা আমাদের মা’কে দেখতে চাই।
গত ১৪ টা দিন আমি ঘুমাতে পারছি না ।
তিনি খেয়ে আছেন নাকি না খেয়ে আছেন , বেঁচে আছেন না মারা গেছেন আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না ।
একটা মানুষ ১৪ টা দিন নিখোঁজ হয়ে থাকতে পারে না।
গত ২৭ আগষ্ট রাত দশটা থেকে রহিমা বেগমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ।
ওই রাতে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন ।
এ ঘটনায় ২৮ আগস্ট খুলনার দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
মানবন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন , নারীপক্ষের সদস্য হাফিজা আক্তার শিরিন , বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়নকারী সংস্থার সমন্বয়কারী এ্যাডভোকেট এ . মোমিনুল ইসলাম , শ্রমিক নেতা রুহুল আমিন , আগুয়ান ৭১ র সভাপতি আবদুল্লাহ চৌধুরী , সোনালী দিন প্রতিবন্ধী সংস্থা পরিচালক ইশরাত হীরা সহ অন্যান্যরা ।