ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ৮:৫৬
বাংলা বাংলা English English

শাল্লায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষনকারী চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে গ্রেপ্তারের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন


সুনামগঞ্জের শাল্লায় সালিশের নামে কিশোরীকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে চেয়ারম্যান মেম্বার কতর্ৃৃক ধর্ষণের ঘটনায় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দ্রæত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক ‘শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় শাল্লা উপজেলা সদরের শহীদ মিণার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার প্রায় তিনশতাধিক লোকজন অংশগ্রহন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর বড়ভাই অসীম কুমার দাস,সাংবাদিক বকুল আহমদ,জয়ন্ত কুমার দাস,রতন দাস,গিরীশ দাস,বীবন দাস,রবীন্দ্র দাস,কারাবাশিঁ দাস,সুশংকর দাস,ঝন্টু দাস,জয়মঙ্গল দাস, প্রদীপ মেম্বার ও প্রমোদ দাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন গত ১৫ই সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার বাহারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু,প্রেমিক মলয় দাস ও ইউপি সদস্য দেবব্রত দাশ মিলে ঐ কিশোরীকে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষন করেন। চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ একজন পেশাদার মাদকসেবী। কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে এনে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় গত ১৬ই সেপ্টেম্বর নির্যাতিতার আপন বড়ভাই বাদি হয়ে ধর্ষনকারী বাহারা ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুকে প্রধান আসামী করে ইউপি সদস্য দেবব্রত দাস মাতব্বর ও মলয় দাসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে শাল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং -০২। এই আসামীদ্বয়কে দ্রæত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পুলিশ সুপারের নিকট জোর দাবী জানান।
উল্লেখ্য যে,উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের বাহাড়া গ্রামের মলয় দাসের সঙ্গে ঐ নির্যাতিতা কিশোরীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল । বিয়ে না করায় চলতি বছরের গত জানুয়ারী মাসে প্রেমিক মলয় দাসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে ওই কিশোরী। এতে প্রেমিক মলয় দাস দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হয়ে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিলে গত ১৪ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ওই কিশোরী মলয়ের বাড়িতে অবস্থান নেয়। পরে মলয়ের পরিবার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুকে জানায়। কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু মলয়ের বাড়ি গিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করে দেয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে রাতেই বাড়ি পাঠিয়ে দেন। সকালে তাকে সালিশের কথা বলে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন এবং পরিষদের একটি কক্ষে ঐ কিশোরীকে ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্য মিলে ধর্ষন করে বলে জানান ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

 

সব খবর