ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ৮:১৮
বাংলা বাংলা English English

কালাইয়ে বিদ্যালয়ে নজিরবিহীন নিয়োগ বাণিজ্য প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে বন্ধের উপক্রম নেই,


জয়পরহাটের কালাইয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ সূত্রে গত মঙ্গলবার ১৩ এ সেপ্টেম্বর ২২-ইং তারিখে দেশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায়’জয়পুরহাটের কালাইয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ”এ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

উক্ত সংবাদের তথ্য সংগ্রহকালে প্রতিবেদকের নিকট আরো তথ্য আসে যাহা হচ্ছে, কালাই বিয়ালা দ্বি- মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এডহক কমিটির উপর তিনটি মামলা বিজ্ঞ আদালতে এখনো বিচারাধীন আছে যার মামলা নং ২৮৯/২১ -৩৩/২২ /৪৭/২২-ইং এসব অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়ায় উপজেলার বিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত (০২, জুলাই) ২২-ইং তারিখে বিয়ালা দ্বি- মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক, ল্যাব এসিস্ট্যান্ট, অফিস সহকারি নৈশপ্রহরী ও আয়া পদে ৫ জনকে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন, বিয়ালা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আজিজুল ইসলাম,ছিলিমপুর গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে হারুনুর রশিদ নাহিদ,বগুড়া সাদুরিয়া বলরামপুরের রেজাউলের ছেলে খোরসেদ বাবু, কালাইয়ের মাত্রাই গ্রামের বাবুর ছেলে বুল বুল ও বিয়ালা গ্রামের আজিজুলের স্ত্রী শান্তনা ৷

চলমান কমিটির অভিভাক সদস্যদের পক্ষে আবুল হায়াৎ নামের এক ব্যক্তি জেলা শিক্ষা অফিস জয়পুরহাট ও মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান,বিদ্যালয়ের শৃিঙ্খলা ভঙ্গসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ওই কমিটির উপরে তিনটি মামলা চলমান থাকা অবস্থায় কি ভাবে এই নিয়োগ দেওয়া হলো৷

চাকুরি প্রার্থী আঃ আজিজ বলেন, বিয়ালা দ্বি- মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ১৩/৩/২২-ইং দৈনিক যুগান্তর ও আঞ্চলিক দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় প্রকাশ হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি দেখে আমি চাকুরির জন্য প্রধান শিক্ষকের সংঙ্গে আলোচনা করলে তখন প্রধান শিক্ষক মহাতাব আমাকে বলেন, চাকুরি নিলে ২৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে কিন্তু কাউকে এ টাকার বিষয়ে বলা যাবে না। তোমার পদে অন্য এক প্রার্থী ২০ লক্ষ টাকা দিতে চাচ্ছে তবুও কনর্ফ্রাম করিনি যদি তুমি ২৫ লক্ষ দিতে পারো তোমার চাকরি কনফ্রার্ম হবে পরে বিজ্ঞপ্তি মারফত আবেদন করেছি এডমিটর্কাড পেয়ে পরিক্ষাও দিয়েছি৷ আমি একজন পরিক্ষার্থী, ভায়বা দিলাম কত মার্ক পেলাম আমার জানার বিষয় আছে কালাই থেকে গাড়ি বহরসহ পুলিশ মতায়েন করেই নিয়োগ বাণিজ্য করেছে এই প্রধান শিক্ষক৷ বর্তমান কমিটির এই নিয়োগ সম্পর্ণ রুপে অবৈধ, এই নিয়োগ বাতিল করে, পূর্নরায় বিজ্ঞাপন দিয়ে যোগ্য প্রার্থীরা চাকুরি পাক টাকার খেলা বন্ধ হক শিক্ষা অঙ্গন মুক্ত করুন মেধাবিরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করুক এটি আমার প্রত্যাশা৷

চাকুরী প্রাপ্ত খোরশেদের একটি (১৯ মিনিট ৪১) সেকেন্ডের গোপণ অডিও প্রতিবেদকের হাতেও আছে ওই অডিওতে খোরশেদ বলেন,আমার চাকুরি আব্বা ঠিক করেছেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে আমি চিনি না হঠাৎ মহাতাব স্যার আমাকে ফোন করে বলেন, তোমার নাম খোরশেদ উত্তরে বলি হ্যাঁ তুমি তিনটি আবেদন ফরম নিয়ে বিয়ালা স্কুলে এসো তখন বিজ্ঞপ্তি দেখেছি ২৫/৩/২২-ইং আবেদনের মেয়াদ শেষ মহাতাব স্যার আমাকে ২৮/৩/২২-ইং তারিখে ফোন করে ডেকে নিয়েছে, আমি ২৮/৩/২২-ইং তারিখে আবেদেন করি, তখন ফজলুর নামের এক ব্যক্তি সভাপতি বলেন তোমার চাকুরি না হলে কারো চাকুরি হবেনা, ২৯/৩/২২ তারিখে ৫ লাক্ষ টাকা চায়, আমি দিয়েছি আমার টাকা দিয়ে নিয়োগ বোর্ডের ডিও ওডার এনেছে ফজলুর সাথে প্রথমে ১৪ লক্ষ টাকা চুক্তি হয় পরে ১৫ লক্ষ টাকা তার পর ১৬ লক্ষ টাকা নিয়োগ বোর্ডের দিন ১৭ লক্ষ টাকা এভাবে আমার চাকুরি হয়৷৷

চাকুরি প্রাপ্ত খোরশেদের অডিও রেকটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছুই জানি না পরিক্ষা দিয়ে উত্তর্ণী হয়েছি৷ ওই রকম অডিও তৈরি করা যায় আমার প্রতিষ্ঠানকে জড়িয়ে একটি অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি কারো কাছে কিছু বলিয়ওনি কিছু বলবো না৷

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বিয়ালা দ্বি -মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গা আমারদের বাজার ঘেসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে আমারদের বাব দারা জমি দান করেছে আমাদের ভালো মন্দ দেখার বিষয় আছে এখানে কালাই থেকে বৈহিরা গত লোক এনে৷ ইচ্ছা মত যা খুসি তাই করবে আমরা তা হতে দিবো না৷ শুনেছি এখানে মার্কেট হচ্ছে সেই মার্কেটে নাকি পচিষণ বাবদ অনকেই টাকা পয়সা দিয়েছে এখানেও অনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকা বাণিজ্য করেছে প্রধান শিক্ষক এগুলো মগের মূল্যক সব লুট পাট করে খাচ্ছে৷

সকল অভিযোগের কপি বক্তব্য অডিয়ও ভিডিও মেছেজ প্রতিবেদকের কাছে সংগ্রহে রয়েছে। উপরুক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বক্তব্য প্রথম পর্বে সম্পূর্ণ রয়েছে৷৷

অডিও কলের বক্তব্যে আরও যে কোন চাকুরির বিজ্ঞপ্তির উল্লেখিত সময়ে কোন আবেদন কারী না পাওয়া গেলে পৃর্ণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া চোলমান থাকা অবস্তায় নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করতে হয়৷ কিন্তু অলৌকিক ক্ষমতাদর দাফটে চাকুরি প্রাপ্ত খোশেদের পোষ্টার ওর্ডার ইসু তার নামে আদৌ আছে না নেই জালিয়াতি ও বে-আইনি ভাবে খোরশেদ অর্থের বিনিময়ে সোনার হরিণ নামক চাকরি নিজের করে নিলেন৷

এবিষয়ে রাজশাহী মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী সচিব হুমাইন কবির বলেন, আমাকে জানতে হবে তার পর মন্তব্য করব নিয়োগে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই অভিযোগটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সব খবর