চলতি মাসের ২৬ সেপ্টেম্বর বর্তমান সরকার দলীয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন।
দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর হতে যাচ্ছে উপজেলা শাখার সম্মেলন।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আনন্দের জোয়ার বইছে ভোটার ও সভাপতি সম্পাদক প্রার্থীদের মাঝে।প্রার্থীরা ভোটাদের দোরগোড়ায় গিয়ে ভোট চাচ্ছেন।ভোটাররাও তাদের সাদরে গ্রহণ করে নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজীবপুর উপজেলা শাখার এবারের সম্মেলনে সভাপতি পদে লড়বেন দলটির বর্তমান সভাপতি আব্দুল হাই সরকার, সাবেক সভাপতি আবদুস সবুর ফারুকী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য মশিউর রহমান (রতন)সহ তিন জন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন (হিরো) সহ দুই জন।
দীর্ঘদিন পর সম্মেলনের কারনে ভোটারদের মনে উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি নেই, কারা বসবে পরবর্তী সভাপতি সম্পাদকের চেয়ারে এনিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সভাপতি পদটিতে সব চেয়ে এগিয়ে মশিউর রহমান (রতন)।তৃনমূল ভোটাররা বলছেন অনেক দিন থেকেই তিনি সভাপতি পদের জন্য ভোটারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন জেলার সাবেক এই নেতা।কিন্তু পিছিয়ে নেই আব্দুল হাই সরকার ও আব্দুস সবুর ফারুকীও। তারাও তাদের জায়গা থেকে পদটির জন্য জোরে সোরে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত করে রেখেছেন ভোটাররা, তারা বলছেন,সাধারণ সম্পাদক পদটিতে শফিউল আলমের বিকল্প নেই কেননা পদটিতে অন্য একজন যে লড়বে তিনি গত উপজেলা নির্বাচনে সরাসরি নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। সে কারণেই তার প্রতি ভোটারদের তেমন আস্থা নেই। কারণ তারা বলছেন, যে নিজের স্বার্থে দল ত্যাগ করতে পারে সে নিজের স্বার্থে দল বিক্রিও করতে পারে।
এ বিষয়ে রাজীবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক বেলাল সরকার সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্র যেটা বলেছিলেন যে যারা নৌকার বিরোধিতা করেছে তারা দলের কোনো পদে আসতে পারবে না। এখন কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা আছে তারা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিবে।