ঢাকা, শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ১:৫৬
বাংলা বাংলা English English

মহিলা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্নসাতের অভিযোগ


বরিশাল জেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের ট্রেড প্রশিক্ষক আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে এক নারীর মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।

নগরীর কাশিপুর চৌহুতপুর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মামুন শরীফের স্ত্রী সালমার মাতৃত্ব কালিন ভাতার জন্য আবেদন করার পর একটি ফরম পূরণ করে কাজ সম্পন্ন করেছিলেন তিনি। তিন দিন আগে আরিফ তাকে জানান, তার বইতে টাকা এসেছে তাকে নিজে এসে টাকা তুলতে হবে। পরে বরিশাল জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে সব প্রসেস থেকে টাকা তুলে বের হতে গেলে টাকা গুনে ও জাল টাকা আছে কিনা দেখার কথা বলে সব টাকা নেন আরিফ।এরপর মাত্র ৩ হাজার টাকা হাতে দিয়ে বলেন আরিফ’ এই টাকা আমি এমনিতেই দিলাম।আপনার টাকা বইতে আসেনি। এসময় সালমাকে ১২৫৪ নং ০২০০০১৫৩১৪০৭৩ এবং সালমা বেগম লিখে একটি কাগজ ধরিয়ে দেয় প্রতারক আরিফ।ঘটনা না বুঝতে পরে দুইদিন পরে স্থানীয় একজন রাজনৈতিক নেতাকে ভুক্তভোগী সালমা জানালে তার হস্তক্ষেপে টাউট আরিফ প্রতারণার কথা স্বীকার করেন এবং ভুক্তভোগীকে চুপ থেকে টাকা গোপনে নেয়ার প্রস্তাব দেয় আরিফ। প্রস্তাবে রাজি না হলে রাজনৈতিক ওই নেতার পা ধরে মাফ চেয়ে রাতের আধারে ভুক্তভোগীর টাকা ফেরৎ দিয়ে কোনমতে গণধোলাই থেকে রক্ষা পায় আরিফ।

ঘটনা জানাজানি হলে বেরিয়ে আসে আরিফের বহু বড় ছোট দুর্নীতি, অনিয়ম ও কুকর্মের আমলনামা।

অভিযুক্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রেড প্রশিক্ষক আরিফুর রহমান টাকা আত্মসাৎ এন ঘটনা স্বীকার করে বলেন ‘ গতকাল রাতে ২৭ হাজার টাকা ফেরৎ দিয়েছি। আমার ভুল হয়েছে।’ আবার একটি ভিডিও প্রেরণ করেন তিনি যেই ভিডিওতে দেখা যায় ‘ ভুক্তভোগী টাকা ফেরৎ নিচ্ছেন, এবং প্রতারক আরিফ নিজের মোবাইলে তা ভিডিও করছেন।

বরিশাল জেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দিলারা খানম জানান এই বিষয়ে আমার কাছে লিখত বা মৌখিক কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আননুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

সব খবর