ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ১১:৫৭
বাংলা বাংলা English English

আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ


নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানের ব্যবধানে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।

শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) টাইগ্রেসদের দেয়া ১২১ রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে আইরিশদের ইনিংস থামে ১১৩ রানে।

সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে আগেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ফলে ফাইনালে খুব বেশি চাপ ছিল না নিগার সুলতানা জ্যোতিদের জন্য। কিন্তু বাছাইপর্ব ছাপিয়ে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে চাওয়া টাইগ্রেসদের তো চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে আগে।

সে লক্ষ্যে টস জিতে প্রথম ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ও ফারজানা হক ৩.৫ ওভারে ২৩ রান যোগ করেন দলের স্কোরকার্ডে। কেলির বলে ৬ রান করে বিদায় নেন মুরশিদা।

ওয়ান ডাউনে আসা অধিনায়ক জ্যোতি ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে। ১১ বল খেলে মাত্র ৬ রান করেন তিনি। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ফারজানা ও রুমানা মিলে যোগ করেন ৪৯ রান। ২০ বলে ২ চারে ২১ রান করে বিদায় নেন রুমানা।

ব্যাট হাতে এদিন বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। ১০৭ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন হয় টাইগ্রেসদের। অলরাউন্ডার সালমা খাতুনও বিদায় নেন ৪ রান করে।

বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে সফল শুধু ফারজানা। কেলির শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৫৫ বলে ৭ চারের মারে ৬১ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ফারজানার ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ।

স্বল্প লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে আইরিশ ব্যাটাররা। বলা যায়, নাহিদা-রুমানাদের স্পিনে প্রথম থেকেই পরাস্ত হতে থাকেন তারা। ৪৯ রান তুলতে তারা হারিয়ে বসে টপ ও মিডল অর্ডারের ৬ ব্যাটারকে। এর মধ্যে অধিনায়ক লরা দিলানি ২২ বলে ১২ ও এলিমিয়ার রিচার্ডসনের ১৫ বলে ১৮ ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।

শেষদিকে অবশ্য টাইগ্রেসদের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান ম্যারি ওয়ালড্রন ও আর্লেন কেলি। ওয়ালড্রন ১৭ বলে ১৯ রান করে আউট হলেও ২৪ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন কেলি। শেষদিকে তাকে সঙ্গ দিয়ে কারা মুরে ১০ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলেন। তবে সানজিদা-সোহেলিদের বোলিং তোপের মাঝে আইরিশদের ইনিংস থেমে যায় জয় থেকে ৮ রান দূরে থেকে।

২৪ রান খরচায় ৩ উইকেট ‍শিকার করেন রুমানা। দুটি করে উইকেট নিজেদের করে নেন সানজিদা, নাহিদা ও সোহেলি। এ জয়ের ফলে টুর্নামেন্টে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় জ্যোতিরা।

সব খবর