ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ১:০২
বাংলা বাংলা English English

ছাতকে এক ধর্ষণ মামলায় বিবাদির অব্যাহতির আবেদন আদালতে নাকচ


ছাতকে ধর্ষণ মামলার আসামি আছদনগর গ্রামের আব্দুল কাদিরের মামলার ধার্য্য তারিখ ছিলো সোমবার। ধার্য্য তারিখে আদালতে বিবাদির মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন।

এদিকে বিবাদির হুমকি-ধামকিতে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে বাদির অসহায় পরিবার। এ অভিযোগ করেছেন মামলার বাদি জমিলা খাতুন। আসামি আব্দুল কাদির নোয়ারাই ইউনিয়নের আছদনগর গ্রামের মৃত ইছাক আলীর পুত্র।

বাদি নোয়ারাই ইউনিয়নের আছদনগর গ্রামে থাকা নীরিহ জমিলা খাতুন তিনি খায়রুল ইসলামের স্ত্রী। নিজের বাড়ি-ঘর না থাকায় ৩ ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন আছদনগর গ্রামের আব্দুল কাদিরের বাড়িতে। মা- মেয়ে ওই বাড়িতে ঝি-এর কাজ করে সংসার চালাতো।

এ সুবাদে আব্দুল কাদির জমিলা খাতুনের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সাথে কু-কর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ওই মেয়েকে বেশ কয়েকদিন জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় গত ২০ মার্চ ভিকটিমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৩ মার্চ পর্যন্ত হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলে।

এদিকে ২২ মার্চ ছাতক থানায় জমিলা খাতুন বাদি হয়ে আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)২০০০ সংশোধনী ২০০৩ ধারায় থানায় রেকর্ড ভুক্ত হয়। (থানার মামলা নং১৩) ওই দিনই আসামি আব্দুল কাদিরকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মামলায় দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিলেন তিনি।

ইতিমধ্যে মামলার চুড়ান্ত রিপোর্ট (নং১২৮ তারিখ ৩১.০৭.২০২২ইং) আদালতে দাখিল করেছেন তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই মোহাম্মদ আলী। অভিযোগ পত্রে আব্দুল কাদিরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

একমাস পুর্বে আব্দুল কাদির জেল হাজত থেকে জামিনে মুক্তি পান। সোমবার ছিলো মামলার ধার্য্য তারিখ। ওই তারিখে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আইনজীবির মাধ্যমে আদালতে আবেদন করেন তিনি। আদালত আবেদনটি নাকচ করে স্বাক্ষি প্রদানের তারিখ ধার্য্য করেছেন।

সব খবর