বরিশাল এয়ারপোর্ট থানাধীন ডেফুলিয়া এলাকায় নাজমিন আক্তার নামে এক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মারধর সহ শীলতাহানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে হাওলাদার সড়ক নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা আহত অবস্থায় প্রতিবন্ধী নাজমিনকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস (ওসিতে) ভর্তি করা হয়।
প্রতিবন্ধীর মেজ বোন নার্গিস জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার প্রতিবন্ধী বোন নাজমিনকে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছে প্রতিবেশী শাজাহান মোল্লার ছেলে মালেক মোল্লা। বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকবার প্রতিবাদ করেছি। যাতে মালেক মোল্লা আর কখনো যেন প্রতিবন্ধী বোনকে উত্তক্ত না করে।
আমার বাবা একজন নাইটগার্ড। প্রতিদিন রাতে আমার বাবা তার কাজে বাসা থেকে বের হয়ে যান। বাসায় থাকে আমার বড় ভাই লিটনের স্ত্রী দোলন ও আমার প্রতিবন্ধী বোন নাজমীন।
ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার দিবাগত আনুমানিক একটার দিকে প্রতিবন্ধী নাজমিন বাথরুমে যায়।
বাথরুম শেষে বের হলে হঠাৎ তার মুখে চেপে ধরে মালেক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ব্যর্থ হয়ে শীলতাহানি সহ মারধর করেন। প্রতিবন্ধীর ডাক চিৎকারে ভাবি দোলন আসলে তাকে ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তাক করলে দোলন ভয়ে পালিয়ে যায় ।
স্থানীয় পরিবারের সজনরা আহতের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন পরে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা অনুসন্ধান করতেছি। অপরাধ সংগঠিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।