ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ১:১৩
বাংলা বাংলা English English

প্রতিমা বিসর্জনে এত মানুষ আগে দেখেনি কক্সবাজারবাসী


প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার লাখো মানুষের অসাম্প্রদায়িক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এটিই দেশের বৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন। যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের আয়োজনে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি মানুষের সমাগম হয়েছে।

বুধবার (৫ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টে সম্প্রীতির এক জনারণ্য বসে। যে জনারণ্যের কোলাহলে উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ঢোলের সুরে মুখরিত ছিল সৈকতের পড়ন্ত বিকেল। পশ্চিম আকাশে সূর্যের লাল আবহে স্রোতের পানিতে ভাসিয়ে বিদায় জানানো হল শারদীয় দুর্গাকে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিন প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে সম্প্রীতির সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। দুই লক্ষাধিক মানুষের সমাগমে আনন্দের পাশাপাশি ভক্তদের বিষাদের ছাপে শেষ হয় প্রতিমা বিসর্জন।

 

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে বিজয়া সম্মেলন শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে। সৈকতের বালিয়াড়িতে ৫টার পরও চলে বিদায় অঞ্জলি। এর আগে বিকেল ৩টা থেকে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং পাশের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে একে একে প্রতিমা বোঝাই ট্রাক আসতে থাকে।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কর জানান, কক্সবাজারে এবার প্রতিমা পূজা ছিল ১৪৮টি। যার মধ্যে ১১০টি মণ্ডপের প্রতিমা সৈকতের লাবনী পয়েন্টে আনা হয়। এর পাশাপাশি পাশের উপজেলা থেকে আনা হয় আরও অনন্ত ৪০টি প্রতিমা। ফলে দেড় শতাধিক প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানটি দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ জানান, সৈকতের প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে আগত পর্যটকসহ ২ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছে। যেখানে সব ধর্মের মানুষের উপস্থিতি নতুন করে সম্প্রীতির বন্ধন রচনা করেছে।

প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বাংলাদেশ একটি সম্প্রীতির রাষ্ট্র, এটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও প্রমাণিত হয়েছে। এই উন্নয়নশীল বাংলাদেশে একটা সময় সাম্প্রদায়িকতার যারা বীজ বুনে অপতৎপরতা চালিয়েছিল, তারা চিহ্নিত হয়েছে। এদের বয়কট করে জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিত করে এই ঐক্যের প্রমাণ দেয়ার আহবান জানান তিনি।

বিজয়া সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলন শেষে একে একে দেয়া হয় প্রতিমা বিসর্জন। বিসর্জন ঘিরে সৈকত ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।

সব খবর