ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, সকাল ৮:২৪
বাংলা বাংলা English English

কিছু পত্রিকা আছে, যারা সব সময় খারাপ খবরগুলোই লিখে: প্রধানমন্ত্রী


আমাদের কিছু কিছু পত্রিকা আছে। যারা সব সময় খারাপ খবরগুলোই লিখে। দেশ যতোই ভালো করুক, তারা সেটি দেখবে না। তারা সারাজীবন খারাপ কথা বলতে পারলেই স্বস্তি পায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘এটা আমি যুগ যুগ ধরেই দেখে আসছি। অবশ্য সেসবে আমি কান পাতি না।’

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের সফর নিয়ে আজকের এ সংবাদ সম্মেলন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ওইসব পত্রিকার মতো কিছু মানুষও আছে। তারা পরশ্রীকাতরতায় ভোগে। তবে আমি এসব নিয়ে চিন্তা করি না। আমি জনগণকে নিয়ে ভাবি। তাদের কীভাবে মঙ্গল হবে সেটা নিয়ে চিন্তা করি। আমাদের অর্থনীতে এখন অনেক ভালো। আমাদের প্রবৃদ্ধিও ভালো। দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সবাই মিলে চিন্তা করলে দেশটা ভালো জায়গায় যাবে।’

 

‘বর্তমানে অন্দোলনের অনেক হুমকি আসছে। বিরোধী দলের বা ক্ষমতায় বাইরে থাকা দলের কাজ কী? তারা তো একটু আন্দোলন করবেই। এটা তাদের কাজ। বিরোধীদল যদি একটু শক্তিশালী হতো তাহলে তো ভালোই হতো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করি তখন আমাদের রিজার্ভ ছিল মাত্র এক বিলিয়ন ডলার। ১৩শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি, আর স্বাক্ষরতার হার মাত্র ৪৫ ভাগ- এই নিয়ে ৯৬ সালে যাত্রা শুরু করেছিলাম।’

‘এরপর দেশটাকে যখন এগিয়ে নিয়ে গেলাম তখন ২০০১ সালে তো আর ক্ষমতায় আসতে পরিনি। গ্যাস বেচার মুচলেকাও দেইনি, আসতেও পারিনি। তখন যে সিদ্ধান্তটা কত সঠিক ছিল সেটাও আপনারা একটু চিন্তা করে দেখেন। তখন যদি গ্যাস-বিদ্যুৎ বেচে দিতাম তখন আজকে আর কারো…. এখন তো শুধু একটু বিদ্যুতের লোডশেডিং দিতে হয়, কিন্তু ওই অন্ধকার যুগেই থাকতে হতো। সেটাও মাথায় রাখতে হবে। আমরা যখনই আসি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’

সব খবর