ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, সকাল ৮:৩১
বাংলা বাংলা English English

বাজারে ইলিশের দাম চড়া, হতাশ ক্রেতারা


মা ইলিশ রক্ষায় আবারও ২২দিন অবরোধের কবলে পড়ছেন জেলেরা। এই সময়ে সমুদ্র ও নদীতে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে। শুক্রবার (০৭ অক্টোবর) প্রথম প্রহর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। এই হিসেবে আজই ইলিশ বিক্রি ও ক্রয়ের শেষ দিন। শেষ দিনে ইলিশ কিনতে বাগেরহাটের একমাত্র সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কেবি বাজারে ভীড় জমিয়েছেন ভোক্তারা। দাম চড়া হওয়ায় হতাশায় ক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) কাক ডাকা ভোর থেকেই ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয় কেবি বাজারে। ফজরের নামাজ শেষে মুহুর্তের মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতার হাক ডাকে সরগরম হয়ে ওঠে দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তম এই মৎস্য আড়ত। অন্যান্য সময়ের থেকে খুচরো ক্রেতাদের যেমন ভীড় ছিল, তেমনি মাছের দাম ছিল অনেক বেশি। প্রতি কেজি মাছ অন্যান্য দিনের তুলনায় ১‘শ থেকে ৩‘শ টাকা বেশি বিক্রি হয়েছে। এক কেজি থেকে ১২‘শ গ্রাম মাছ ১৫ থেকে ১৬‘শ টাকা কেজি, ৮‘শ থেকে ৯‘শ গ্রামের ১২‘শ টাকা, আধা কেজি থেকে ৬‘শ-৭‘শ গ্রাম টাকা, ৩‘শ থেকে সাড়ে আধা কেজির নিচের মাছ বিক্রি হয়েছে ৭‘শ থেকে ৮‘শ টাকা কেজিতে। সর্বশেষ ২‘শ গ্রাম ও তার নিচের মাছ বিক্রি হয়েছে সাড়ে চারশ থেকে ৫‘শ টাকা কেজিতে। যা অন্যান্য সময় বিক্রি হত ২‘শ থেকে ৩০০ টাকা কেজি।

শুধু ইলিশ নয় অন্যান্য মাছের দামও ছিল সাধারণ ক্রেতাদের বাজেটের থেকে বেশি। ঢেলা চেলা, চাপিলা, তুলার ডাটি, রুপচাঁদা, কঙ্কন, মেদ, মোচন গাগড়া, সাগরের বাইলা, লইট্টাসহ সব ধরণের মাছ বিক্রি হয়েছে বেশি দামে। সাগরে কাঙ্খিত মাছ না পাওয়া, ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় মাছের পরিমান কম হওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে দাবি ট্রলার মালিকদের।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএস এম রাসেল বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর মধ্য রাত পর্যন্ত সমুদ্র ও নদীতে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে আমরা প্রচার প্রচারণা চালিয়েছি। অবরোধ কার্যকর করতে দিন-রাত সব সময় আমাদের টহল জোরদার থাকবে। এই সময়ে জেলেদেরকে সরকারি সহায়তাও দেওয়া।

সব খবর