মোংলায় বসতবাড়ীর রান্না ঘরের জ্বালানী কাঠের মাচা থেকে একটি তক্ষক উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। বুধবার রাতে তক্ষকটি উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে কাটাখালী টহল ফাঁড়ির বনের অভ্যন্তরে ছেড়ে দিয়েছেন বনবিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান জানান, উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিঠাখালী মধ্যপাড়ার মোঃ কামাল গোলদারের বসত বাড়ীর রান্না ঘরের জ্বালানী কাঠের মাচার উপর একটি তক্ষক দেখতে পান তার স্ত্রী নিলুফা বেগম। বুধবার সন্ধ্যায় তক্ষকটি দেখতে পেয়ে তারা বনবিভাগকে খবর দেন। এরপর রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তক্ষকটি উদ্ধার করেন বনবিভাগ। পরে উদ্ধার হওয়া ওই তক্ষকটি বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে বনের কাটাখালী টহল ফাঁড়ির বনাঞ্চলে অবমুক্ত করেন বনবিভাগ। এ সময় জিউধারা স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান, কাটাখালী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, স্থানীয় বাঘবন্ধু সদস্য মোঃ মারুফ বাবু, বিটিআরটি সদস্য মোঃ হাকিম, সিপিজি সদস্য মোঃ পিন্টু, মোঃ ইমরান ও সুন্দরবন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ কাওছার উপস্থিত ছিলেন।
জিউধারা ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান বলেন, উদ্ধার হওয়া তক্ষকটি লম্বায় ৯ ইঞ্চি ও ওজন ছিলো সাড়ে ৩শ গ্রাম। তিনি বলেন, এর আগেও বন সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩টি তক্ষক উদ্ধার করা হয়েছিলো। তিনি আরো বলেন, বুধবার কামাল গোলদারের বাড়ীতে এ তক্ষকটি পাওয়ার পর স্থানীয় কতিপয় অসাধু লোকজন সেটি সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই চক্রটি বাড়ীর মালিক কামাল ও তার স্ত্রী নিলুফাকে নানা প্রলোভণ দেখিয়ে বলেন এটি মূল্যবান, বিক্রি করতে পারলে অনেক টাকা পাওয়া যাবে। তবে তারা কোনভাবেই প্রলুব্ধ না হয়ে বনবিভাগকে খবর দেয় এবং তক্ষকটি উদ্ধারে সহায়তা করেন। তিনি আরো বলেন, বন্যপ্রাণী ধরা, আটকে রাখা, বিক্রি কিংবা পাচার করা আইনগ দন্ডনীয় অপরাধ, সুতরাং কেউ নিজেকে এ অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত না করে কোন প্রাণী লোকালয়ে চলে গেলে তা উদ্ধার করে ওই সকল প্রাণীর নিজ আবাসস্থল সুন্দরবনে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদেরকে সকলে সহযোগীতা করবেন সেই প্রত্যাশা রাখছি এলাকাবাসীর প্রতি।