ঢাকা, শুক্রবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ১০:১৭
বাংলা বাংলা English English

জুন পর্যন্ত ৬ লাখ কর্মী প্রবাসে পড়ি জমিয়েছে: বিশ্বব্যাংক


বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে মোটেই আতঙ্কিত নয় বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কমপক্ষে ৫ মাসের আমদানি খরচ মেটানোর মতো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত আছে। এছাড়া করোনা পরবর্তী সময়ে চলতি বছরের মাত্র ৬ মাসেই ৬ লাখ কর্মী প্রবাসে গিয়েছে। এতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহও অব্যাহত থাকবে। এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ১ শতাংশ, এ পূর্বাভাস দেয় সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।

করোনা পরবর্তী বিশ্বে আচমকাই আরেক মহামারি হয়ে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। যার সরাসরি প্রভাব খুব একটা না পড়লেও দক্ষিণ এশিয়া ইউরোপসহ সারা দুনিয়ার অর্থনীতির ওপর বয়ে যাচ্ছে নিরব এক ঝড়।

করোনায় প্রায় দুই বছর বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে কর্মী পাঠানোর সব উদ্যোগ বন্ধ ছিল। এতে দেশে বেকারত্ব, দারিদ্র্য বাড়ার সঙ্গে চাপ পড়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও। যা লুফে নেন সমালোচকরা, আড়ালে আবডালে অনেকেই শোনাতে থাকেন ঝুঁকির গল্প। তবে এবার বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

 

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি বলেছে, রিজার্ভ ও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানেই রয়েছে।

এ সময় `সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস, কাপিং উইথ শক: মাইগ্রেশন অ্যান্ড দ্য রোড টু রিজিলিয়েন্স’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছেন ছয় লাখের বেশি মানুষ। যদিও বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস বলছে, ধারণার চেয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমবে।

প্রতিবেদনে যে কোনো মূল্যে রফতানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি, আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজন বুঝে ব্যয় করতে সরকারকে পরামর্শও দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

সব খবর