নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় মডার্ন হাউজিং নামে একটি আবাসন প্রকল্পে অবৈধ গ্যাস সংযোগের ছড়াছড়ি। আর এ অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ভুয়া বিলের নামে লাখ লাখ টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে একটি দালাল চক্র। ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালিয়ে ২৫ বাড়ির ২৯০টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ নগদ ৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এ সময় জব্দ করা হয় বিপুল সংখ্যক রাইজার।
জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে মডার্ন হাউজিংয়ে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে তিনটি গলিতে সারিবদ্ধভাবে আবাসিক ভবন গড়ে উঠেছে। এর অধিকাংশই দশ তলার অধিক বহুতল ভবন। এ হাউজিংয়ে অধিকাংশ বাড়িতেই অবৈধ সংযোগ ব্যবহার হচ্ছে।
ভবন মালিকদের অভিযোগ, সামছুল আলম ওরফে গ্যাস সামছুল নামে এক দালাল এই হাউজিংয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার মূল হোতা। প্রতি মাসে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্যাস বিলের নামে বিশ হাজার টাকা করে দুই লক্ষাধিক টাকা তুলে নিয়ে যান।
এই হাউজিংয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পুলিশ প্রশাসন ও তিতাস কর্তৃপক্ষকে নিয়ে সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারাশিদ বিন এনাম জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২৫ বাড়ির ২৯০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয় নগদ ৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া ১১টি বাড়ির অবৈধ গ্যাস সংযোগ স্থায়ীভাবে সিলগালা করা হয়েছে যাতে তারা পুনরায় অবৈধ সংযোগ নিতে না পারে।
অবৈধ গ্যাস সংযোগকারী সামছুল ইসলাম ওরফে গ্যাস সামছুলের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, বাড়ির মালিকরা তার ব্যাপারে অভিযোগ করেছে। তার বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করেছি। পুলিশ প্রশাসন, তিতাস কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে ব্যবস্থা নেবে।
অবৈধ সংযোগ নেয়া থেকে এলাকাবাসীকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে তিতাসের ফতুল্লা আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, অবৈধ সংযোগ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেব।
১০০টি প্লটের এই মডার্ন হাউজিংয়ে বহুতলসহ ৩০টি ভবনে পাঁচ শতাধিক পরিবার বসবাস করছেন। তিতাস কর্তৃপক্ষের দাবি, গত পাঁচ বছরে এই হাউজিংয়ের অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা কোটি টাকার গ্যাস চুরি করেছেন।