ঢাকা, শুক্রবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ১১:২৫
বাংলা বাংলা English English

আবু বকরকে (রা.) নামাজে যে দোয়া পড়তে বলেছেন নবিজি (সা.)


নামাজের মধ্যে দোয়া করা যায়। নামাজে দোয়া করলে মহান আল্লাহ সে দোয়া কবুল করে নেন। কারণ নামাজের মধ্যে আল্লাহ তাআলা বান্দার খুব কাছাকাছি থাকেন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের মধ্যে পড়ার জন্য হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া শিখিয়ে দিয়েছিলেন। সেই দোয়াটি কী?

হজরত আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, একবার তিনি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে বললেন, আপনি আমাকে এমন একটি দোয়া শিখিয়ে দিন, যা দিয়ে আমি নামাজে দোয়া করবো। তিনি বললেন, তুমি নামাজে পড়বে-
اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ ‏
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি জ্বলামতু নাফসি জুলমান কাছিরা; ওয়া লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আন্তা; ফাগফিরলি মাগফিরাতাম মিন ইংদিকা; ওয়ারহামনি; ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহিম।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর অনেক বেশি জুলুম করেছি। আপনি ছাড়া আমার গুনাহ মাফ করার আর কেউ নেই। অতএব আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আর আমার প্রতি দয়া করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও অতি দয়ালু।’ (বুখারি ৬৩২৬)

উল্লেখ্য, অনেকেই দোয়াটি শেষ বৈঠকে দরুদ পড়ার পর পড়ে থাকেন। এটি দোয়া মাছুরা হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। শেষ বৈঠকে এ দোয়া ছাড়াও অন্যান্য দোয়া করা যাবে। এ সময় দোয়া করলে মহান আল্লাহর বান্দার দোয়া কবুল করেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দোয়াটি নামাজে পড়ার মাধ্যমে নিজেকে গুনাহমুক্ত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সব খবর