কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে ৪০ হাজার জৈব অস্ত্রের ফর্মুলা তৈরিতে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা সাধারণত মানুষের শরীর এবং শরীরে বাইরে নানা ধরনের ক্ষতিকর জৈব উপাদান শনাক্ত করতে এটি ব্যবহার করেন। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে জৈব অস্ত্র তৈরির বিষয়টি নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। খবর দ্য ভার্জের।
ন্যাচার মেশিন জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হাজার হাজার নতুন প্রাণঘাতী রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে এসেছে, যার মধ্যে কিছু কিছু রাসায়নিক ভাইরাস-এক্সের মতো শক্তিশালী, যা এখন পর্যন্ত বিকশিত সবচেয়ে শক্তিশালী নার্ভ এজেন্ট।
নতুন গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, কত সহজে কৃত্রিম মডেলগুলোকে নোংরা উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষিত করা যেতে পারে। একইসঙ্গে বিভিন্নি সম্ভাব্য জৈব অস্ত্র তৈরির নমুনাও তৈরি করেতে পারে। সম্ভাব্য একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেলের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছে বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন যে, মাত্র ছয় ঘণ্টায় ৪০ হাজার জৈব রাসায়নিক অস্ত্রের ফর্মুলা তৈরি করতে পারে সেটি।
অন্য কথায় বলা যায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যখন অনেক শক্তিশালী, অনেক দ্রুততর হয়ে উঠবে এবং আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ওষুধের রাসায়নিক উপাদানগুলো খুঁজে বের করার বিষয়টি সামনে আসবে তখন অবধারিতভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে খুব বিপজ্জনক ও মারাত্মক ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করবে না, তার নিশ্চয়তা দেয়া যায় না।
গবেষকরা নিবন্ধে লিখেছেন, ‘মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে আমরা কম্পিউটার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আসছি কয়েক দশক ধরে। মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে নয়।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেতিবাচক ব্যবহার সম্পর্কে তারা আরও লিখেন, ‘আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাণিজ্যিক ব্যবহারে সম্ভাব্য অপব্যবহার সম্পর্কে চিন্তা করার ক্ষেত্রে এত দিন অজ্ঞাত ছিলাম। কারণে আমরা এত দিন মোটাদাগে কেবল এর সংশ্লিষ্ট খাতের নেতিবাচক ব্যবহার নিয়ে কাজ করেছি। সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাজ করা হয়নি।’
গবেষক দলটি একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে ‘মেগাসিন’ নামক একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেমের ওপর ট্রায়াল চালায়। সেখানে এটিকে বিষাক্ত অণু শনাক্ত করে সেগুলোকে এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছিল। কিন্তু মেগাসিন করেছে তার বিপরীত।