ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, ভোর ৫:১০
বাংলা বাংলা English English

ছুটির দিনে জমে উঠেছে বইমেলা


ছুটির দিন হওয়ায় মেলার ১৭তম দিনে জমে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) অন্যান্য দিনের তুলনায় ক্রেতাদের বেশি উপস্থিতি দেখা গেছে। মেলা প্রাঙ্গণে লাইন ধরে প্রবেশ করছেন দর্শনার্থীরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেলার স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতেও বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। বিশেষ করে শিশুদের আগমনে ফিরেছে বইমেলার উচ্ছ্বাস। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে অনেকেই উপস্থিত হতে দেখা যাচ্ছে এ মেলায়।

কুড়িল থেকে এসেছেন কাজী মাসুম বিল্লাহ। সঙ্গে তার মা, স্ত্রী, কন্যা ও ভাইপো। তিনি বলেন, প্রতি বছরই মেলায় আসা হয়। আজকেও এসেছি বই কেনার জন্য। মেয়ের জন্য বই কিনেছি। আরও কিছু কিনব। এজন্য দেখতেছি। মেলাও ঘুরে দেখা হলো। সঙ্গে বইও কেনা হলো।

শিশুচত্বরে কথা হয় আরেকজন অভিভাবকের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। বাচ্চাদের বিভিন্ন বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। সারাদিন ঘরবন্দি থেকে মেলায় এসে বাচ্চারা আনন্দ উৎসবে মেতেছে।

বই বিক্রয়কর্মীরা জানান, এ কদিনের মধ্যে আজ ভালোই ক্রেতা এসেছেন। ক্রেতারা আগে থেকেই বইয়ের নাম ও লেখকের নাম নিয়ে আসেন। এতে স্টল বা প্যাভিলিয়নগুলোতে বেশি ভিড় দেখা যায় না। একটা বই কিনতে এসে যদি অন্য বই ভালো লাগে, তাহলে সঙ্গে আরও দুই-একটি বই কেনেন। সবাই তো বই কিনতে আসে না, অনেকেই ঘুরতে আসে। সবাই যদি বই কিনতেন তাহলে বই বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে যেত। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে একটু বেশি বই বিক্রি হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ছুটির দিন হওয়ায় মেলা শুরু হয়েছে বেলা ১১টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। তাই সকাল থেকে শুরু হয়েছে বইপ্রেমীদের আনাগোনা। স্টলে-স্টলে ঘুরে বইয়ের মলাট উল্টে দেখে কিনে সুন্দর সময় পার করছেন তারা।

প্রতিবছরের মতো এবারও শিশুদের বই নিয়ে আলাদা ‘শিশু চত্বর’ রাখা হয়েছে। মেলায় শিশুদের আধিক্য দেখা গেছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাঠকদের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশা লেখক-প্রকাশকদের।

সব খবর